দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ভাতিজাকে খুন করে চাচা

প্রকাশিত: ১২:১০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২১

অনলাইন ডেস্ক : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে গাছের আম পাড়া নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ভাতিজা সুমন গোয়ালকে (৩২) খুন করেছে চাচা।

বুধবার ভোর ৫টার দিকে হবিগঞ্জের নোয়াপাড়া চা বাগানে হত্যাকারীদের আত্মীয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুই চাচাতো ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার ইসলামপুর ইউপির চাম্পারায় চা বাগানের ২৫ নম্বর সেকশনে এ ঘটনা ঘটে।

রাতেই নিহতের ভাই সঞ্জু গোয়ালা বাদি হয়ে চাচা মনোহর গোয়ালাকে প্রধান আসামি করে চাচাতো দুই ভাই বিশ্বজীত গোয়ালা ও সঞ্জিত গোয়ালার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার গাছের আম পাড়া নিয়ে চাম্পারায় চা-বাগানের সুমন গোয়ালার সঙ্গে তার চাচা মনোহর গোয়ালা ও তার দুই ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় সুমন গোয়ালা চা বাগান অফিসে গিয়ে ব্যবস্থাপকের কাছে বিচারপ্রার্থী হন। এতে সম্মানহানি হয়েছে মনে করে ক্ষিপ্ত হয়ে মনোহর গোয়ালা তার দুই ছেলে বিশ্বজিত গোয়ালা ও সঞ্চিত গোয়ালা মিলে সুমন গোয়ালাকে একা পেয়ে ধরে ২৫ নম্বর সেকশনে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দুই ছেলেসহ আরও দু’জনকে নিয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।

লাশটি চা বাগান সেকশনে ফেলে রাখলে এলাকাবাসী পুলিশকে অবহিত করে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল তৈরি করে থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি বুধবার সকালে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে, মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে পুলিশ হত্যকারীদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে অভিযান চালালে আসামিরা দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাদের ধাওয়া করে নিহতের দুই চাচাতো ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে থানায় জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, এ হত্যাকাণ্ডে তাদের সঙ্গে একই এলাকার মিলন ও সুজন জড়িত ছিল। হত্যকাণ্ডে তারা দা ও কুড়াল ব্যবহার করেছে। সুমন চা-বাগান থেকে বাঁশ নিয়ে ফেরার পথে তার গতিরোধ করে ধরে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান অবজারভারকে বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এ দুই পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ চলছিল। দুই আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে। প্রধান আসামি চাচা মনোহরসহ অপর দু’জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’