পূর্ণাঙ্গ রায়ে প্রধানমন্ত্রী ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা

প্রকাশিত: ৪:৪১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার : পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের ঘোাষিত পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার সকালে এই রায় প্রকাশ করা হয়। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিডিআর বিদ্রোহ দমনে সময়োপযোগী ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীরও প্রশংসাও করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী পর্যবেক্ষণে বলেন, সদ্য নির্বাচিত সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসীম ধৈর্য্য, বিচক্ষণতা ও সাহসিকতার সঙ্গে দৃঢ় মনোবল নিয়ে নিয়ে শক্ত হাতে বিদ্রোহ দমনে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন, যা ছিল দূরদর্শী।

পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, বিডিআরের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ কাজে লাগিয়ে বিডিআর বিদ্রোহের রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট, অর্থনেতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নের লক্ষ্যে স্বার্থান্বেষী মহলের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত বাহিনীকে ধ্বংসের চক্রান্ত রুখতে প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রনায়কোচিত পদক্ষেপ ছিল সময়োপযোগী।

পাশাপাশি সেনা, বিমান ও নৌবাহিনী সংবিধান ও গণতন্ত্রেও প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও অবিচল আস্থা রেখে ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে পেশাদারিত্বেরও পরিচয় দিয়ে দেশবাসীর ভালোবাসা ও সুনাম অর্জন করেছে।

মোট ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার রায় প্রকাশ করা হয়েছে বুধবার সকালে। রায়ে তিনজন বিচারপতি ঐক্যমতে পৌঁছেছেন। কিন্তু তিনজনেই আলাদা আলাদা রায় দিয়েছেন।

২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জন বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলের ওপর হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। ইতোমধ্যে তিনজন মারা গেছে। যাবজ্জীবন দেয়া হয়েছে ১৮৫ জনকে। তার ভেতরে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। ১৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ২ জনকে। ১৫৭ জনকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন, এর ভেতর ২ জন মারা গেছেন। ১৩ জনকে সাত বছর, ১৪ জনকে ৩ বছর, ১ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ২ জনকে, মোট ৫৫২ জনকে সাজা এবং ২৮৩ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। মোট মারা গেছেন ১৪ জন।