নওগাঁয় বোরো ধান কাটার মৌসুম শুরু

প্রকাশিত: ১১:০১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : নওগাঁর রাণীনগরে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই উপজেলার ১৮৮ হেক্টর বোরো ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে।

ভালো ফলন পাওয়ায় অনেকটাই খুশি উপজেলার কৃষকরা। তবে লকডাউনের কারণে শ্রমিক সংকটের আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার আটটি ইউনিয়নে মোট ১৮ হাজার ৮শত হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ জমিতে অধিক ফলনশীল জিরাশাইল ধান বেশি চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে উপজেলার বেশির ভাগ মাঠের ধান কাটার উপযোগী হয়েছে।

যেসব কৃষকরা আগাম জাতের জিরাশাইল ধান চাষ করেছিলেন তারা ইতিমধ্যেই ধান কাটা শুরু করেছেন। বিশেষ করে উপজেলার পূর্বাঞ্চলের একডালা ইউনিয়নের জলকৈ, সঞ্জয়পুর, শফিকপুর গ্রামের কৃষকরা তাদের স্বপ্নের বোরো ধান কেটে ঘরে তোলা শুরু করেছেন। বর্তমান আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটার মৌসুম শুরু হবে।

তবে বিগত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে কৃষকরা বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাবে বলে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে।

শফিকপুর গ্রামের কৃষক হামিদুর রহমান বলেন, যা আশা করেছিলাম এবার বোরো ধানে তার চেয়ে অনেক বেশি ফলন পেয়েছি। এই মৌসুমে ধানে পোকা ও রোগের আক্রমণ কম হওয়ায় তেমন কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়নি।

সঞ্জয়পুর গ্রামের কৃষক আবেদ আলী বলেন, লকডাউনের কারণে দূর থেকে কোন শ্রমিক সহজ ভাবে আসতে পারছে না। তাই আমরা ধান চাষীরা অনেকটাই শ্রমিক সংকটের আশঙ্কা করছি। তবুও প্রাথমিক ভাবে একটু বেশি মূল্য দিয়ে স্থানীয় শ্রমিক দিয়েই ধান কাটা শুরু করেছি। আশা রাখি লকডাউন শেষে শ্রমিকরা এলে এবং আবহাওয়া ভালো থাকলে উপজেলার কৃষকরা খুব সহজেই ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বিঘা প্রতি কৃষকরা জিরাশাইল ধানের ২৫-২৭ মণ হারে ফলন পাচ্ছেন। তবে এবার ধানে পোকা ও রোগের আক্রমণ কম এবং আবহাওয়া ধানের অনুকূলে থাকায় বিগত সময়ের চেয়ে কৃষকরা ফলন অনেক বেশি পাবেন। কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকদের ধানের কখন কোন পরিচর্যা করতে হবে তা শুরু থেকেই পরামর্শ দিয়ে আসছে। তাই আশা করা হচ্ছে চলতি মৌসুমে ধান চাষ করে কৃষকরা অধিক লাভবান হবেন।

তিনি বলেন, গত বছর করোনা মহামারিতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ধান কাটার শ্রমিক নিয়ে এসে যেভাবে কৃষকদের ধান কাটতে সহযোগিতা করেছি প্রয়োজন হলে এবারও সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেন উপজেলার কোন কৃষক শ্রমিক সংকটে না পড়েন।