‘ওবায়দুল কাদেরকে কোম্পানীগঞ্জে আসতে দেয়া হবে না’

প্রকাশিত: ১০:২৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘দুর্নীতিবাজ ডিসি, এসপি, এএসপি সার্কেল, ইউএনও, ওসি, ওসি তদন্ত দিয়ে আমাকে পিটাবেন। মেরে ফেলবেন? ফেলুন। মনে রাখবেন এ কোম্পানীগঞ্জের মাটি থেকে একদিন আপনার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। কোম্পানীগঞ্জের মাটিতে আপনি (ওবায়দুল কাদের) আসতে পারবেন না। প্রয়োজনে আমার রক্ত ঝরবে, আমার পরিবারের সদস্যদের রক্ত ঝরবে, আপনাকে কোম্পানীগঞ্জের মাটিতে আসতে দেব না।’

শুক্রবার বিকেলে নিজের অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি এখন বসুরহাট পৌরসভাতে অবরুদ্ধ। এখানে একরামের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসী, পুলিশ, এএসপি সার্কেল শামীমের নেতৃত্বে আমার পৌরসভা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। পৌরসভায় কোন মানুষকে উঠতে দিচ্ছে না। সবাইকে পুলিশ বাধা দিচ্ছে, এটা কার নির্দেশে হচ্ছে? এটা বসুরহাট পৌরসভার মানুষ জানতে চায়।

তিনি বলেন, ‘আজ ওবায়দুল কাদের আমার ছেলেদের কোন খোঁজখবর নিচ্ছে না। বরং ওবায়দুল কাদের আমার বিরুদ্ধে এখানে পুলিশ ও সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়েছে। নিজের দুর্নীতিবাজ স্ত্রী ইসরাতুন্নেছা কাদেরকে বাঁচাতে তিনি ব্যস্ত কিন্তু তার স্ত্রী বাঁচতে পারবে না। ওবায়দুল কাদের তার কী স্বার্থ, সে-কী চায়, আমাদেরকে হত্যা করতে? এটার পরিণতি অত্যন্ত ভয়ানক হবে, বলে দিচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তোমার পুলিশ প্রশাসন সামলাও ওবায়দুল কাদের। বলে দিচ্ছি, তুমি জেলে দিবে, আমাকে হত্যা করবে, তোমায় (কাদের) আমরা পরোয়া করি না। তোমার খাইও না, পরিও না। তোমার কারণে আমার একটি ভাই গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। আজকে তোমার স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন হাজার হাজার কোটি টাকা মালিক হয়েছে। আমার কর্মীদের চাকরি দেবে বলেছিলে কিন্তু একটা ছেলেও চাকরি পায়নি। এখানে গ্যাস নেই, উন্নয়ন নেই। যে উন্নয়ন হয়েছে তা নেত্রী শেখ হাসিনার কারণে হয়েছে।’

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র বলেন, ‘আপনার (ওবাদুল কাদের) স্ত্রী ২০ লাখ টাকা দামের শাড়ি পড়ে, আর আমার গরীব মানুষ ২শত টাকার জন্য ছেঁড়া কাপড় পরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। এটা কি চলতে দেওয়া যায়, এ জন্য কি বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছে? আমার ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন অর্থের অভাবে আত্মহত্যা করেছে, আরেক ভাই ফজলুল কাদের মিন্টু শিক্ষকতা পেশা শেষ করে ২৫ লাখ টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন, এখন ফ্ল্যাটের টাকা দিতে পারছেন না। তাকে বের করে দেওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমার অন্য ভাই শাহাদাত হোসেন কোটি টাকার ওপরে দেনা। আমার অবস্থাও করুণ। ওবায়দুল কাদের এসবের খবর নিচ্ছেন না।’