ভারতে করোনা বেড়েই চলেছে, বহু শহরে কারফিউ

প্রকাশিত: ২:২৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছিল আগেই, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ১৭ হাজার ৩৫৩ জন। মারা গেছেন এক হাজার ১৮৫ জন।

ভারতে করোনাকে রোখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত মানুষের নতুন রেকর্ড হচ্ছে। রাজ্য হিসাবে মহারাষ্ট্র এবং শহর হিসাবে দিল্লি এখন করোনা রাজধানী। তবে বেঙ্গালুরুতেও করোনা খুবই বেড়েছে। কেরালাতেও। কেরালা সরকার শুক্র ও শনিবার দুই থেকে আড়াই লাখ মানুষের করোনা পরীক্ষা করাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হরিদ্বারে কুম্ভ মেলায় ৩০জন সাধু করোনায় আক্রান্ত।

গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ২১০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আগামী দিনে আরো বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হতে পারে।

দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৬৯৯ জন। দিল্লিতে আগে থেকেই রাতের কারফিউ চালু ছিল। শুক্রবার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত সপ্তাহান্তের কারফিউ-ও চালু করা হয়েছে। দিল্লির হাসপাতালের উপর প্রচণ্ড চাপ পড়ছে। এইমসের ডিরেক্টর গুলেরিয়া জানিয়েছেন, প্রচুর মানুষ করোনা নিয়ে আসছেন। এইমসের প্রচুর নার্সও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই অবস্থায় যতটা সম্ভব তারা মানুষের চিকিৎসা করার চেষ্টা করছেন।

কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পিএম কেয়ার্স তহবিল থেকে ১০০টি হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট লাগানো হবে।

দুই লাখ ছাড়ালো
ভারতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে গেল। এই প্রথমবার এত মানুষ একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন এক হাজার ৩৮ জন। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। প্রায় ৬০ হাজার। দিল্লিতে আক্রান্ত ১৭ হাজারের বেশি। উপরের ছবিটি দিল্লির একটি হাসপাতালের।

উত্তর প্রদেশের লখনউ, প্রয়াগরাজ, নয়ডা, গাজিয়াবাদ, কানপুর, মিরাট, গোরক্ষপুর, বারাণসীতে রাত আটটা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ জারি হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের ভোপাল, উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন সহ অনেক শহরেই রাতের কারফিউ বহাল আছে।

কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং এবং সূরযেওয়ালা করোনায় আক্রান্ত। সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হসিমরত কাউর বাদলেরও করোনা হয়েছে। সিবিআইয়ের সাবেক ডিরেক্টর রঞ্জিত সিনহা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

হরিদ্বারে ৩০ সাধু আক্রান্ত

হরিদ্বারের কুম্ভমেলায় ৩০ জন সাধু করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নিরঞ্জন আখাড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদের সাধুরা শনিবারের পর কুম্ভ থেকে চলে যাবেন। রাজ্য সরকার এখন বলছে, আখাড়া পরিষদ যদি কম্ভের দিন কম করার সিদ্ধান্ত নেয়, তা হলে তারা মানবে। নিজে থেকে তারা কুম্ভের দিন কম করবে না। মানুষের আসাও বন্ধ করবে না। সূত্র: ডয়েচে ভেলে।