ইবিতে সমালোচনার মুখে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নতুন কমিটি

প্রকাশিত: ১২:০১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২০

নিউজ ডেস্কঃ চার কমিটি দিয়ে চলছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) বঙ্গবন্ধু পরিষদ। বিলুপ্তি হয়নি কোন কমিটিই। ফলে বিব্রতকর অবস্থায় পরেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্যরা।তিনটি কমিটি থাকার পরেও সোমবার (৬ ডিসেম্বর) পুনরায় ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান কে সভাপতি এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করে ১০১ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা গঠন করা হয়েছে।এ উপলক্ষে সকাল ১১টায় মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব মুর‌্যালের সামনে গুটিকতক শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিয়ে সমাবেশ করেছে বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশ। এরপর মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব মুর‌্যালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং মুজিব বর্ষ পালনের পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের একজন সক্রিয় সদস্য বলেন, নবগঠিত এ কমিটির সাথে আজকে যারা মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব মুর‌্যালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন তাদের মাঝে বেশ কয়েকজন বিএনপি এবং জামাত পন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তা। তাদের বিরুদ্ধে কিছু দিন আগে অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে বিএনপি ও জামাত পন্থী প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিএনপি জামাতের সাথে তাদের সক্রিয় সম্পর্ক রয়েছে।তবে নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিন এ বিষয়ে বলেন, একশত এক সদস্য বিশিষ্ট আজকের কমিটিতে বিএনপি ও জামাত পন্থী কোন শিক্ষক-কর্মকর্তা নেই এবং পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় বিএনপি-জামাত পন্থী কেউ ছিলো না। তবে আশেপাশে যদি বিএনপি-জামাত পন্থী কেউ থেকে থাকে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৬ সালে। এর পর থেকেই সংগঠনটি নিয়ে চলছে নানান আলোচনা ও সমালোচনা। আগের নির্বাচিত একটি কমিটি এবং দুটি আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্তি না করেই সর্বশেষ নতুন এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্যরা।

বর্তমানে চারটি কমিটি রেখেই চলছে বঙ্গবন্ধুর পরিষদের কার্যক্রম। এতে তীব্র সমালোচনার মুখে পরেছেন সংগঠনটি। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে সংগঠনের সদস্যরা।দাবি জানিয়েছেন অল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের মধ্যে নির্বাচিত দুটি আলাদা কমিটি গঠন করে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী পালনের কর্মসূচি হাতে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করার।এর আগে ২০১০ সালের ২৬ এপ্রিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে অধ্যাপক ড. আবুল আহসান চৌধুরী সভাপতি ও অধ্যাপক ড. রুহুল কে. এম সালেহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই বছর পর নির্বাচনের কথা থাকলেও চার বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও নির্বাচন দিতে পারে তারা। ফলে পরিষদের মধ্যে সৃষ্টি হয় চরম অন্তর্কোন্দল।এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. এস. এ মালেক ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের আরেকটি আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেন। অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে গঠন করা হয় সেই কমিটি।


কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ অনুমোদিত এ আহ্বায়ক কমিটির বিপক্ষে পাল্টা কমিটি গঠন করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশ। অধ্যাপক ড. মো. জাকারিয়া রহমান কে সভাপতি এবং অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান কে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১৫ সালেই গঠন করা হয় সেই কমিটি।২০১০ সালে নির্বাচিত সহ সভাপতি অধ্যাপক কাজী আখতার হোসেন বলেন, শুনেছি বঙ্গবন্ধু পরিষদের নতুন কমিটি হয়েছে, আমাদের আগের কমিটি এখনো বাতিল হয়নি।