ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় বাংলাদেশ ন্যাপ

প্রকাশিত: ৫:০৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০২০

নিউজ ডেস্কঃ রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকার রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ এবং তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এই ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেনসোমবার (৬ জানুয়ারী) গণমাধ্যমে প্রেররিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ দাবি জানান।তারা বলেন, ধর্ষণ এখন নিত্যদিনের খবর হয়ে দাড়িয়েছে। এটা এখন মহামারীর আকার ধারণ করায় প্রায় প্রতিদিন আর কোনো সংবাদের নিশ্চয়তা না থাকলেও লোমহর্ষক ধর্ষণের খবর নিশ্চিত পাওয়া যায়। কোনো অপরাধ তখনই মহামারী আকার ধারণ করে যখন অপরাধীরা বুঝতে পারে যে, যেকোনো উপায়ে তারা পার পেয়ে যাবে।

দুঃখজনক বিষয়, এই পৈশাচিকতা থেকে কেউই রেহাই পাচ্ছে না। দুই বছরের কন্যা শিশু থেকে শুরু করে মধ্যবয়সী কেউই আজ আর নিরাপদ নয়। মসজিদের ইমাম থেকে শুরু করে পিতার কাছে নিজের ঔরসজাত সন্তান পর্যন্ত ধর্ষিত হচ্ছে। অনেক মাদ্রাসায় আবার ছেলে শিশু বলাৎকার হচ্ছে। মনে হচ্ছে, কি এক বিকারগ্রস্থতা গ্রাস করে ফেলেছে দেশের সকল জনপদকে।ধর্ষকদের তালিকায় কে নেই? মসজিদের ইমাম থেকে শুরু করে, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ, শিল্পী,আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, লেখক, সাহিত্যিক, মুদি দোকানদার, বাস ড্রাইভার, হেল্পার, শ্রমিক,আপন পিতা, নিকট আত্মীয় কেউ বাদ নেই। চারদিকে শুধুই ধর্ষক, কাউকেই যেন বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। এমন অনিরাপদ বাংলাদেশ কে দেখেছে কবে?নেতৃদ্বয় বলেন, এমন এক সমাজে বাস করছি যে সমাজে এখন আর ধর্ষণকে ক্ষমাহীন অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয় না, লজ্জার কথা বলা তো হাস্যকর। কুলাঙ্গার, বেজন্মারা আগে যা করত লোকচক্ষুর আড়ালে, রাতের অন্ধকারে, এখন তা ফ্লিমি কায়দায় গৌরবের সাথে প্রকাশ্যে দিনের আলোয় লোকচক্ষুর সামনে সংঘটিত করছে।

কোনো কোনো জারজ আবার ভিডিও করে রেখে তা সোস্যাল মিডিয়ায় ছডিয়ে দিচ্ছে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সাথে, যেন বোঝাতে চাচ্ছে দেখ আমার কুকর্ম, দেখ কেউই আমার কিছু করতে পারবে না।তারা আরো বলেন, যখন একটি জনপদে বা দেশে মহামারী আকারে কোন কিছু আবর্তিত হয় তখন তা রোধে ও তার পরিত্রাণের জন্য দরকার যথাপোযুক্ত ভ্যাকসিন।আর এক্ষেত্রে যথাপোযুক্ত ভ্যাকসিনের নাম হচ্ছে উপযুক্ত শাস্তি, আইনের যথাপোযুক্ত প্রয়োগ।বিচারের দীর্ঘসূত্রীতা নামে এক ভয়াবহ অসুখ জেঁকে বসেছে আমাদের বিচার ব্যবস্তায়। ধর্ষিতার শারীরিক পরীক্ষার কৌশল নিয়েও রয়েছে যথেষ্ট বিতর্ক। তারপরও ধর্ষণ রোধে দ্রুততম সময়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এখন সমায়ের দাবী।এই ব্যাধিতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার আগেই প্রতিটি ঘর দুর্গ হোক। আমরাও যেন বর্ম হই। তীব্র সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি। আমাদের কন্যারা বীরদর্পে ঘুরে বেড়াক জীবনের অলিগলি।