মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে ১০ ব্যক্তির সিন্ডিকেট ভাঙার দাবি

প্রকাশিত: ৫:০৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১

সময় সংবাদ ডেস্কঃমালয়েশিয়া শ্রমবাজারে বাংলাদেশের ১০ ব্যাক্তির সিন্ডিকেটসহ বিশ্বের সব দেশের প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সিন্ডিকেট ভেঙে সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট, বায়রা।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন ড. মোহাম্মদ ফারুক। আরো উপস্থিত ছিলেন, এশিয়ান টেলিভিশনের কর্ণধার হারুন-অর-রশিদ, গোলাম ফারুক, রেদওয়ান খান বোরহান, মোস্তফা মাহমুদ, সিরাজ মিয়া প্রমুখ।

বক্তরা বলেন, দেশে একহাজার দুইশত এজেন্সি থাকলেও মাত্র দশটি প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেট মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান সরকারকে ১৮ লাখ টাকা করে লাইসেন্স ফি দিলেও কাজ করতে পারে মাত্র ১০টি প্রতিষ্ঠান।

ড. মোহাম্মদ ফারুক বলেন, এই সিন্ডিকেট বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে শ্রম বাজার নষ্ট করেছে। ২০১৬ সালে ১৫ লাখ জনশক্তি রপ্তানি করার কথা থাকলেও ২ লাখ ৭৪ হাজার জনশক্তি পাঠিয়েছে। কিন্তু ১২ লাখ লোকের মেডিকেল করেছিল। মেডিকেলও করা হয়েছিল সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোতে। এছাড়া সিন্ডিকেটের কারণে জনপ্রতি বিদেশ যাবার খরচও বেশি পড়েছিল। বর্তমানে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বন্ধ রয়েছে। এই সিন্ডিকেট আবারও অপতৎপরতা শুরু করেছে যেন শ্রমবাজার খোলা হলে আবারও তারা সরকারকে ভুল বুঝিয়ে ফায়দা লুটতে পারে।

হারুন-অর-রশিদ বলেন, একহাজার দুইশত এজেন্সি সরকারকে ১৮ লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসা করছে। অথচ কাউকে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। কেউ খাবে কেউ খাবে না তা হবে না, তা হবে না। আমরা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি শ্রমবাজারের এই সিন্ডিকেট ভাঙবে এবং আগামীতে সব এজেন্সি কাজ করার সুযোগ পাবে।

রেদওয়ান খান বোরহান বলেন, লাইসেন্সের কোন শ্রেণী বিন্যাস নেই। অথচ কাউকে কাজ করতে দেয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন এই সিন্ডিকেট ভেঙে সকল রিক্রুটিং এজেন্সিতে কাজ করার সুযোগ দেয়া হোক।