ওয়ানটাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত: ৪:০৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের হোটেল, রেস্তোরাঁসহ সব জায়গায় ব্যবহার হওয়া ‘ওয়ান টাইম প্লাস্টিক’ পণ্য এক বছরের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্লাস্টিক বন্ধের ব্যাপারে কী কী কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে জানাতে বিবাদীদের ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি সময়সীমা বেধে দিয়েছেন আদালত।

শিল্প মন্ত্রণালয় সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সচিব, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব, বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্রোডাক্ট প্রডিউসার অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানসহ আটজন এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) এ-সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও সাঈদ আহমেদ কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।

রেজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের জানান, আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের সমস্ত উপকূলীয় অঞ্চল ও হোটেল-মোটেল-রেস্টুরেন্টে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

অপর আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবির বলেন, বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুসারে পলিথিন নিষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে। ২০০২ সালে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনও রয়েছে। কিন্তু প্লাস্টিকের বিভিন্ন সামগ্রী যেমন, কটন বার্ড, প্লাস্টিক বোতল, প্লেট, ব্যাগ ও ফুড প্যাকেজিংয়ের ব্যবহার দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে। দেশের ৫৪টি নদী ও উপকূলীয় অঞ্চল থেকে প্লাস্টিক বর্জ্যগুলো বঙ্গোপসাগরে ফেলা হচ্ছে। এতে পানি, মৎস্য ও সামুদ্রিক প্রাণীর মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। পরে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর বেলাসহ ১১টি সংগঠন একটি রিট পিটিশন দায়ের করে এবং রিটে বিভিন্ন গবেষণা পত্র ও বিভিন্ন দেশের প্লাস্টিক রোধের কার্যক্রর ব্যবস্থাগুলো আদালতে তুলে ধরা হয়।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার বন্ধ রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।