আশুলিয়ায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশিত: ১:১৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : আশুলিয়ায় নিজ বাড়ির পাশে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত মো. জুয়েল, মো. নুরুজ্জামান, মেহেদী হাসান নাজমুল ও রেজাউল ইসলাম পারভেজপল রিমান্ড চেয়ে শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে আশুলিয়া পুলিশ। এর আগে শুক্রবার রাতে আশুলিয়া থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন নিহতের ভাই শাহাবুদ্দিন খন্দকার পিন্টু।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডেন্ডাবর নতুন পাড়া এলাকার মৃত নুরুল হক খন্দকারের ছেলে পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান শাহজাদা খন্দকার মনা (৫৫)। নিজ বাড়ির পাশে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন। পরে গভীর রাতে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এঘটনায় আহত হয়েছেন নিহতের ভাই শাহাবুদ্দিন খন্দকার পিন্টু ও তার স্ত্রী আলেয়া বেগম।

মামলার আসামিরা হলেন- ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার ডেন্ডাবর নতুন পাড়া এলাকার আলাউদ্দিন মিস্ত্রির ছেলে আল আমিন ওরফে বাবু মিস্ত্রি (২৬), একই এলাকার জমির মোল্লার ছেলে নুরুজ্জামান (৩৫), মো. শাহজাহানের ছেলে ফেরদৌস আহমেদ টিটু (৩০), শাহজাহান সরকারের ছেলে সাইফুল ওরফে ছোট সাইফুল (৩৮) ও কবির হোসেনের ছেলে মো. রনি (২৪)।

এছাড়া জয়পুরহাট জেলার সদর থানার রিপন হোসেনের ছেলে রকি (২১), নড়াইল জেলার নড়াগতি থানার খাশিয়াল গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে রেজাউল ইসলাম পারভেজ (১৯), মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার কচুয়া গ্রামের মো. লিটনের ছেলে মেহেদী হাসান নাজমুল (২৫), একই জেলার সদর থানার ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে মো. আরিফ (৩০) ও শিবালয় থানার তেওতা গ্রামের মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে মো. জুয়েল (৩০), টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার সিনন্দীন গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে মো. সুমন (২৫) ও একই জেলার দেলদুয়ার থানার নান্দুলিয়া গ্রামের মৃত আমির খানের ছেলে মো. রাব্বী (১৯)। তবে তারা সবাই ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার ডেন্ডাবর নতুন পাড়া এলাকার বর্তমান বাসিন্দা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আরিফদের নতুন ডেন্ডাবর এলাকায় একটা গ্রুপ আছে। ওরা এলাকায় ফিটিং ও মাদকের ব্যবসা করে। ওরা সব ছাত্রলীগ নেতা টিটুর লোক। এছাড়া মেহেদী, রকি, ছাত্রলীগের বাবু, নুরুজ্জামান পারভেজ এগুলা সব গুলা টিটুর পোলাপান। মাঝে মধ্যে ওরা টিটুর সাথে মিছিল-মিটিংয়েও যায়।

আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শামিউল আলম শামিম বলেন, ‘আটক জুয়েল, নুরুজ্জামান, সুমন, মেহেদী নামে কোন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে আমি চিনি না। শুধু আরিফকে চিনি ভালো করে। সে যুবলীগ করে। আর টিটোরে একটা পক্ষ ফাঁসাচ্ছে। টিটু যেহেতু আমার কমিটির সাধারণ সম্পাদক। সে যদি অপরাধী হয় তাহলে শাস্তি হবে। মামলা হওয়া মানেইতো সে অপরাধী না।’

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, গতকাল রাতেই নিহতের ভাই শাহাবুদ্দিন খন্দকার পিন্টু একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। ছাত্রলীগের এক নেতাও মামলার আসামি। হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।