আতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৭:২১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম।

রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এ তথ্য জানান এ রিটার্নিং কর্মকর্তা।

গতকাল শনিবার উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দেন এ সিটির বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল।

বিএনপিপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আপনারা কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

জবাবে আবুল কাসেম বলেন, ‘ইতোপূর্বে যে অভিযোগ পেয়েছি, আমি দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন আমার কাছে উপস্থাপনের জন্য বলেছি। প্রতিবেদনে যা আসবে, সেই অনুসারে আমরা পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

এর আগেও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দেয়ার সময় আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল।

উত্তরের এ রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আপনি যেটা বলছেন, সেটা সঠিক নয়। আমার কক্ষে যখন উনি মনোনয়ন জমা দিতে এসেছেন, তখন উনি বাদে পাঁচজনই ছিলেন। একজন বেশি ছিল, তাকে বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওইদিন কিন্তু কাউন্সিলর, তারাও ছিল। এখন উনি তো আগে মেয়র ছিলেন। উনি আসলে কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে কাউন্সিলররাও আসে। কাউন্সিলররাও কিন্তু পাঁচজন করে নিয়ে আসতে পারেন। এটা তাবিথ আউয়ালের ক্ষেত্রেও ঘটেছে। তখন তার সঙ্গে বিএনপির মনোনীত কাউন্সিলররাও ছিলেন।’

তখনকার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে না বলেও জানান তিনি।

আতিকুলের বিরুদ্ধে তাবিথের অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘আজ (শনিবার) সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে আওয়ামী লীগপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম গুলশান পার্কে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে একটি নির্বাচনী মঞ্চ করে, মাইক এবং সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে নিজের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন। কর্মীদের ভোটারের কাছে যাওয়ার জন্য দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন, যা সিটি করপোরেশন নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা, ২০১৬ এর স্পষ্ট লঙ্ঘন ও গর্হিত অপরাধ। নির্বাচন কমিশন আমাদের আশ্বাস দিয়েছিল যে, নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড বিদ্যমান থাকবে এবং নির্বাচন আচরণবিধি সব প্রার্থীর জন্য সমভাবে প্রয়োগ করা হবে এবং তা তদারকির জন্য মাঠপর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থাকবে।’

তাতে আরও বলা হয়, ‘আইন ভঙ্গ করলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ বিধিমালা লঙ্ঘনকারী প্রার্থীকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টাও করেননি।’

তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা না নিলে এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন কখনই জনগণের আস্থা অর্জন করবে না বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।