খুলনার তেরখাদা থানার রবিউল হত্যার রহস্য উম্মোচন

প্রকাশিত: ৮:৩৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২১

আতিয়ার রহমান,খুলনা : খুলনা তেরখাদা থানার চাঞ্চল্যকর রবিউল হত্যা মামলার প্রধান আসামী নড়াইল জেলা নড়াগাতি থানার পিতা-মৃত বদর শেখ পুত্র ইসারত শেখ হত্যার দায় স্বীকার করে গতকাল বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেনন আসামী।

সিআইডি খুলনার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শাহিদুল ইসলাম শাহীন দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস যাবৎ নিবিড় তদন্ত করে রবিউল হত্যার মূল হোতা কথিত কবিরাজ ইসারত শেখকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে, আসামী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার ভিকটিম মোঃ রবিউল মোল্লা, পিতা-মৃত সোবহান মোল্লা, গ্রাম-তেরখাদা উত্তর পাড়া, থানা-তেরখাদা, জেলা-খুলনাকে গত ২৩/০৬/২০২০ তারিখ দিবাগত রাতে রবিউলের নিজ বাড়ীতে কথিত কবিরাজ রবিউলের পরিবারের সদস্যদের ভুল বুঝিয়ে কবিরাজির নাম করে পরিকল্পিতভাবে শ^াসরোধ করে হত্যা করে।

বিজ্ঞ আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ইসারত শেখ জানান, রবিউলের দ্বিতীয় স্ত্রী শামিমা খাতুনের সাথে তার সম্পর্ক হওয়ার পর রবিউল এটা জেনে যায়। নিহত রবিউল এই নিয়ে স্ত্রী শামিমা খাতুনকে মারধর করেন এবং ইসারতকে হত্যার হুমকি দেন। এই কারণে তিনি রবিউলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

সেই মোতাবেক রবিউলের প্রথম স্ত্রী বালিনা খাতুনকে ফোন করে নিজেকে কবিরাজ পরিচয় দিয়ে বলেন, তার কাছ থেকে তদবির নিয়ে রবিউল তার শ্যালক লিটু মোল্লার স্ত্রী শামিমাকে প্রেমে ফেলে বিয়ে করেছে। তার কাছ থেকে তদবির নিয়ে রবিউল তার ছোট ছেলে মেয়ে ও স্ত্রীকে ফেলে পরের স্ত্রীকে নিয়ে গেছে এটা জানার পর থেকে সে খুব মনোকষ্টে আছে।

যদি সে একটি সুযোগ পেত তাহলে ফিরতি তদবির দিয়ে রবিউলকে তার প্রথম স্ত্রী সংসারে ফিরিয়ে দিতে পারত। এভাবে রবিউলের প্রথম স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের আস্থা অর্জন করে গত ২৩/০৬/২০২০ তারিখ রাতে পরিবারের সদস্যদের সহোযোগীতায় কবিরাজির নামে চেতনা নাশক ঔষধ দিয়ে রবিউলকে প্রথমে অজ্ঞান করে তার হাত-পা বেধেঁ ফেলে।

পরে ঘরথেকে সবাইকে বের করে দিয়ে কথিত কবিরাজ ইসারত শেখ শ^াসরোধ করে রবিউলকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় নিহত রবিউলের ভাই খোকন মোল্লা বাদি হয়ে এজাহার নামীয় ৭ জনসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে তেরখাদা থানার মামলা করেন মামলা নং-০৭ তারিখ -২৬/০৬/২০২০ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তভার সিআইডি, খুলনা গ্রহন করে তদন্তকালে ঘটনার প্রকৃত অপরাধী ইসারত শেখকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে।