হাতিয়ায় গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার ৫

প্রকাশিত: ৭:৩১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : নোয়াখালীর হাতিয়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা ও ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।সোমবার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। এর আগে ডা. মহিউদ্দিন বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আলমগীর হোসেন (৪০), আবু তাহের (৩২) ও নবীর উদ্দিন (৩২), জিয়া (৩০), ফারুক হোসেন (৩০)। এঘটনায় বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন।

সোমবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানান, প্রথম ঘটনার বাদীর সঙ্গে কথা বলে ও ঘটনা তদন্ত করে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক আগামী সাত দিনের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট পেশ করা হবে। আজ সকালে হাতিয়া থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়েরের পর দ্রুত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় যে ভিডিওটি রেকর্ড করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, লাঞ্ছিত বা নির্মমভাবে আঘাতের শিকার হওয়া ব্যক্তি একজন পুরুষ। তিনি নারী নন। তবে যেহেতু নারীর বিষয়টিও ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বা তাঁকেও এ ঘটনায় গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে, তাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, আজ তাদের কোর্টে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। তবে ঘটনার সময় স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক কেন এ স্থানে এলো, কে তাঁকে এখানে এনে নির্যাতনের নেতৃত্ব দিয়েছিল তারও সঠিক তদন্ত করা হবে।

গত ১ জানুয়ারি নোয়াখালীর হাতিয়ায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তিন সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে সন্তানদের সামনে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। যার ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে ভাইরাল করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারি নির্যাতিতা নারী আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন লোক বিবস্ত্র অবস্থায় ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করে টেনে-হিঁচড়ে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। অপর একজন লাঠি দিয়ে ওই নারীর ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।

আদালতে দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নে ওই গৃহবধূর স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্থানীয় জিয়া ওরফে জিহাদ, ফারুক, এনায়েত, ভুট্টু মাঝি ও ফারুক বাহিনী ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে তারা ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায় এবং মুঠোফোনে সেই ভিডিও ধারণ করে।

এ সময় ওই নারী ও তাঁর ছেলে-মেয়েদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে রাতে স্বামী এসে তাঁকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।