হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩ দিনে ৫১২ মেট্রিক টন চাল আমদানী

প্রকাশিত: ৫:০৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক ; দিনাজপুর হিলিস্থল বন্দর দিয়ে গত ৩ দিনে ৫১২ মেট্রিক টন চাল ভারত থেকে বাংলাদেশে ১৫টি ট্রাকে প্রবেশ করেছে। চাল আমদানী কার্যক্রম চলমান থাকলে চালের বাজার স্বাভাবিক হবে বলে ব্যবসায়ীরা অভিমত ব্যক্ত করেছে।
দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর আমদানী কারক ব্যবসায়ী মেসার্স জগদীশ চন্দ্র রায় প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার শ্রী পদ রায় বলেন, সরকারের চাল আমদানীর শর্ত অনুযায়ী ভারত থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানী অনুমতি বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে পেয়েছি।

শর্ত অনুযায়ী গত ৯ জানুয়ারী থেকে ১১ জানুয়ারি সোমবার পর্যন্ত ভারত থেকে ১৫টি ট্রাকে ৫১২ মেট্রিক টন চাল হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। হিলি আমদানী-রপ্তানী গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ জানান, দীর্ঘ ৩৫ মাস পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই দেশে চাল আমদানীর চালান প্রবেশ করেছে। বন্দরের ৩৫৬ ডলারে প্রতি মেট্রিক টন চাল আমদানী করা হচ্ছে। চাল আমদানীর জন্য এলসি খোলা হয়েছে। সরকারের বেধে দেয়া শর্তে আমদানী পুরোদমে চাল আমদানী শুরু হলে বাজারে চালের দাম কমে আসবে।

হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারকেরা জানান, দেশে চালের বাজারে চালের দাম উর্দ্ধগতি ঠেকাতে সরকার কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারত সহ বিভিন্ন দেশ থেকে বেসরকারী ভাবে চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে হিলি সহ দেশের বিভিন্ন স্থানের আমদানিকারকেরা অনুমতি পেয়ে প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকে চাল আমদানির জন্য এলসি করেন।

এদিকে হিলি স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানীকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, ভারত থেকে প্রতি মেট্রিক টন চালের আমদানি মূল্য পড়ছে ৩৫৬ ডলার। তাতে প্রতি কেজি আমদানি করতে হচ্ছে ২৯-৩০ টাকায়। এর মধ্যে ৪ টাকা সরকারি রাজস্ব যোগ করলে প্রতি কেজিতে মুল্য ৩৪ টাকা হবে।

তিনি আরও জানান, এই বন্দর দিয়ে অন্যান্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানও চাল আমদানির জন্য এলসি করেছেন। তাদের চালও কয়েকদিনের মধ্যে বাজারে চলে আসবে।

এদিকে হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারী অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, ভারত থেকে আজ পর্যন্ত ৩ দিনে চাল বোঝাই ১৫টি ট্রাক দেশে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে ১০টি ট্রাকের চাল খালাস করা হয়েছে। অপর ৫টি ট্রাক খালাস প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চাল আমদানী শুরু হওয়ায় হিলিতেই প্রতিকেজি চাল ৩/৪ টাকা করে কমে গেছে। মজুদারেরা তাদের চাল নিয়ে যে ব্যবসার করতে চেয়েছিল তা নিয়ে এখন দুঃচিন্তায় পড়েছে। মজুদদাররা এখন বাজারে চাল সরবরাহ করতে বাধ্য হবেন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র নিশ্চিত করেছে।