বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার চুরি মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১০:৫৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ৪৯টি কম্পিউটার চুরি মামলার প্রধান আসামি পলাশ শরীফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (সদর সার্কেল) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে রোববার বিকেলে মাদারীপুরের টেকেরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ নিয়ে এ মামলায় মোট ৯ জনকেকে গ্রেফতার করা হলো।

গ্রেফতারকৃত পলাশ শরীফ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গোপীনাথপুর ইউনিয়ন যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট এলাকায় চন্দ্রা পরিবহনের একটি বাসে অভিযান চালানো হয়। পরে ওই বাসে তল্লাশি চালিয়ে পলাশ শরীফকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে সে পলাতক ছিল। তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর থানায় অপহরণসহ দুটি মামলা রয়েছে।

গত বছরের ২৬ জুলাই গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে।

১০ অগাষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্টার ড. প্রফেসর নূরউদ্দিন আহমেদ বাদি হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেন। পরে ১৪ অগাস্ট অভিযান চালিয়ে বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা পলাশ শরীফের মালিকানাধীন ঢাকার বনানী এলাকার ক্রিষ্টাল ইন হোটেল থেকে ৩৪টি কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়। ওই সময় এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৭ জন ও ট্রাকসহ চালককে গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ৯ আসামীকে গ্রেফতার করা হলো।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও সদর উপজেলার মেরী গোপিনাথপুর গ্রামের মাসরুল ইসলাম পনি শরীফ, একই উপজেলার বরফা শেখ পাড়ার আ. রহমান সৌরভ শেখ, একই এলাকার মধ্যপাড়ার হাসিবুর রহমান ওরফে শান্ত ওরফে কাকন, নাইম উদ্দীন, মাদরীপুরের রাজৈর উপজেলার বিশমপুরদীর নাজমুল হাসান, ঢাকার বনানীর ক্রিষ্টাল ইন হোটেল থেকে মো. দুলাল মিয়া ও মো. হুমায়ুন কবির ও বরফা গ্রামের ট্রাকচালক মো. ইমরান সরকার।