সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশনের অধিকাংশ সিসি ক্যামেরা নষ্ট

প্রকাশিত: ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের উত্তরাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে জংশন স্টেশন বগুড়ার সান্তাহার জংশন রেলওয়ে স্টেশন। ১৮৮০ সালে এই স্টেশনটি স্থাপিত হলেও ১৯০০ সালের দিকে নির্মাণ করা হয় স্টেশনের সকল অবকাঠামো। এরপর থেকে সেবা দিয়ে আসছে স্টেশনটি।

কিন্তু অন্যান্য স্থানের স্টেশনগুলোতে অবকাঠামোগত সব কিছুতেই আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও সান্তাহারে এখন পর্যন্ত কোন ছোঁয়াই স্পর্শ করেনি। এমনকি স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে পুরো স্টেশনটিকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়।

স্টেশনের সবকিছু মাষ্টারের কক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ করার নিমিত্তে পুরো স্টেশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১৯টি সিসি ক্যামেরা যুক্ত করা হয়। কিন্তু বর্তমানে ১২টি ক্যামেরা সচল থাকলেও অবশিষ্ট ক্যামেরাগুলো প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে অকেজো পড়ে আছে। অথচ এখনও পর্যন্ত এই ক্যামেরাগুলো মেরামত কিংবা সচল করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা না থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্টেশনের চারপাশে কোন মজবুত নিরাপত্তা প্রাচীর না থাকায় অপরাধীরা স্টেশনে যেকোনো ধরনের কর্মকাণ্ড করে খুব সহজেই এদিক সেদিক দিয়ে পালিয়ে যায়। তাই পুরো স্টেশনের চারপাশের জায়গা উদ্ধার করে যদি শক্ত ভাবে নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণ করা হয় তাহলে স্টেশনে যাত্রী সেবার মান আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এতে করে স্টেশনে যাত্রী সাধারণদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেকটাই নিশ্চিত হবে।

স্টেশনে আসা যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, যদিও বা সান্তাহার স্টেশনের পরিবেশ আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো হয়েছে। কিন্তু যখন অপরাধী চক্রের সদস্যরা এবং সন্ত্রাসীরা জানতে পারবে যে স্টেশনের সিসি ক্যামেরাগুলো নষ্ট তখন তারা আরও তৎপর হয়ে উঠবে। তাই স্টেশনে যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি সিসি ক্যামেরাগুলো মেরামত এবং সব সময় সচল রাখা খুবই জরুরী। কারণ স্টেশন হচ্ছে অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান।

সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতিদিন এই স্টেশন থেকে এবং স্টেশনের ওপর দিয়ে গড়ে প্রায় ৩৫টি ব্রড ও মিটার গেজ ট্রেন দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে। তাই প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই স্টেশনের ওপর দিয়ে যাতায়াত করেন। সে হিসেবে স্টেশনে যাত্রী সেবার মান তেমন ভাবে বৃদ্ধি পায়নি।

তিনি আরও বলেন, স্টেশনে চরম জনবল সংকট রয়েছে। তবুও আমি সব সময় স্টেশনটিকে সচল রাখার চেস্টা করে আসছি। অচল সিসি ক্যামেরাগুলো সচল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিত ভাবে জানিয়েছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।