বাউফলে চড়া দামে সীম কার্ড বিক্রির অভিযোগ

প্রকাশিত: ১১:৩৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২১

অনলাইন ডেস্ক ; পটুয়াখালীর বাউফলে চড়া দামে মুঠোফোনের সীম কার্ড বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নতুন বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি তালিকায় নাম অন্তুর্ভূক্তির ক্ষেত্রে মায়ের নামে সীম কার্ড রেজিষ্ট্রেশনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি হাট বাজারে সীম কার্ড বিক্রির ধুম পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের মায়ের নামে সীম কার্ড রেজিষ্ট্রেশনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মায়ের নামে থাকা সীম কার্ডে সরকার এখন থেকে ‘নগদ’র মাধ্যমে উপবৃত্তির অর্থ পরিশোধ করবে। অধিকাংশ পরিবারেই বাবার নামে সীম কার্ড রেজিষ্ট্রেশন করা। এতদিন সরকার ‘শিওর ক্যাশ’ এর মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদান করেছে। নতুন নিয়ম চালু হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্দেশনা পেয়ে অভিভাবকরা মায়ের নামে সীম কার্ড ক্রয় শুরু করেছেন। বর্তমানে প্রত্যেক হাট বাজারে সীম কার্ড ক্রয়ের হিড়িক পড়েছে। এই সুযোগে খুচরা বিক্রেতারা সীম কার্ডের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশী দামে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

একাধিক অভিভাবক বলেন, ১০০ টাকার সীম কার্ড এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। দরিদ্র পরিবারের অভিভাবকরা সবচেয়ে বেশী বিপাকে পড়েছেন। ৫০০ টাকায় সীম কার্ড ক্রয় করতে গিয়ে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছেন।

এদিকে সীম কার্ডের মালিকানা পরিবর্তনের সুযোগ থাকলেও বিষয়টি গোপণ রাখছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকে মালিকানা পরিবর্তনের জন্য বিক্রেতাদের কাছে গেলেও তাদেরকে ‘সুযোগ নেই’ বলে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই অনেকে সীম কার্ড ক্রয় করছেন।

বাউফল আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আছমা পারভীন বলেন, মায়ের নামে সীম কার্ড রেজিষ্ট্রেশনের ক্ষেত্রে কিছুটা বিড়ম্বনা রয়েছে। কিছু শিক্ষার্থীর মা নেই। অনেকের বাবা মা ডিভোর্স হয়েছে। এদের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। তবে উপবৃত্তির তালিকায় ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবক হিসেবে বাবার নাম দেয়া হয়েছে।

বাউফল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, আগামী ১০ জানুয়ারীর মধ্যে অনলাইনে উপবৃত্তির সকল আপডেট সম্পন্ন করতে হবে। এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সীম কার্ডের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন। চড়া দামে সীম কার্ড বিক্রি করায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, খুব শিগগিরই ভ্রাম্যমাণ আদালতে অসাধু ব্যবসায়ীদের ভোক্তা অধিকার আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তি দেয়া হবে।