মার্কিন নাগরিকদের ইরাক ত্যাগের নির্দেশ

প্রকাশিত: ৫:২৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের অভিজাত বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাশেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার ঘটনায় ইরাক ত্যাগের জন্য মার্কিন নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব ইরাক ত্যাগের জন্য এ আহ্বান জানিয়েছে সেখানকার মার্কিন দূতাবাস। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানানো হয়েছে। শুক্রবার ভোরে গাড়িতে করে বাগদাদ বিমানবন্দর ত্যাগ করার সময় মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন জেনারেল সোলাইমানি। এ হামলায় আরও সাতজন নিহত হন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানায়, জেনারেল সোলেইমানি ইরাকে মার্কিন কূটনীতিক এবং কর্মকর্তাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিলেন। জেনারেল সোলেইমানি এবং তার কুদস বাহিনী শত শত মার্কিনি এবং জোটের সদস্যের হতাহতের পেছনে দায়ী।

ইরানের ভবিষ্যৎ হামলা প্রতিহত করতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমাদের লোকজনকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাবে।

ইরানের গণমাধ্যমেও জেনারেল সোলেইমানির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ইরান-সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়া পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্স বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, হামলায় জেনারেল সোলেইমানি এবং ইরাকি মিলিশিয়া নেতা আবু মাহদি আল মুহানদিস নিহত হয়েছেন।

জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে নতুন করে আরও উত্তেজনা বাড়বে বলে আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে।

জেনারেল সোলাইমানি নিজ দেশ ইরানে হাজি কাসেম নামে পরিচিত। তিনি রেভল্যুশনারি গার্ডের একজন কমান্ডার হলেও অলিখিতভাবে তার পদমর্যাদা দেশটির যেকোনো সামরিক কর্মকর্তার ওপরে ছিল।

রেভল্যুশনারি গার্ডের ‘কুদস ফোর্স’ পরিচালিত হচ্ছিল সোলাইমানির নিয়ন্ত্রণে। ২১-২২ বছর ধরে বাহিনীটি গড়ে তোলেন তিনি।

‘কুদস ফোর্স’ অপ্রচলিত যুদ্ধের জন্য তৈরি একটা বৃহৎ ‘স্পেশাল অপারেশান ইউনিট’। এই ফোর্সের প্রধান কর্মক্ষেত্র মূলত ইরানের বাইরে। কুদস ফোর্স ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ভারসাম্যে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হন সোলাইমানি।

সোলাইমানি তার বাহিনীর পুরো কাজকর্মের জন্য দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে জবাবদিহি করতেন।

হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর সর্বোচ্চ প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি বলেছেন, যেসব অপরাধী তাদের নোংরা হাত দিয়ে গতরাতে জেনারেল সোলায়মানির রক্ত ঝরিয়েছে তাদের জন্য ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।