ক্ষতবিক্ষত মির্জাগঞ্জের গ্রামীন সড়ক

প্রকাশিত: ৫:৪৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০

মেহেদী হাসান মুবিন,মির্জাগঞ্জ: ঘূর্ণঝড় আম্ফান এবারের ও বর্ষা বিলম্বিত হওয়ায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছে . রাস্তাঘাট ও সড়ক-উপসড়ক। গ্রামীণ জনপদের কাঁচা-পাকা সড়কের ইট ও মাটি সরে গেছে।

অনেক স্থানে ব্রিজ-কালভার্ট ভেঙে বেড়েছ জনদুর্ভোগ। তবে মির্জাগঞ্জ এলজিইডি বিভাগ গ্রামীণ জনপদের সড়কগুলো সংস্কারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, উজেলার ৬ ইউনিয়নের ৯শ’ ৫০কি.মি. স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাঁচাপাকা সড়ক আছে।

এর মাঝে পাকা সড়ক আছে ১৮০ কি.মি.। গেল ঘূর্ণিঝড়ে আম্ফান ও প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় গ্রামীণ জনপদে ১৫কি.মি.সহ মোট ৩৫কি.মি. কাঁচাপাকা সড়ক ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। উপজেলা সদরের সুবিদখালী বাজার সড়ক, মির্জাগঞ্জ, মাধবখালী, কাকড়াবুনিয়া ভয়াংসহ সর্বত্র গামীণ জনপদের এমন চিত্র দেখা গেছে।
ইতোমধ্যেই গ্রামীণ জনপদে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে।

শুরু হয়েছে শীতকালীন সবজি চাষ। এ জন্য ব্যাপক ব্যবহার হবে গ্রামীণ সড়কগুলো।মির্জাগঞ্জে ব্যাপক ব্যবহৃত একটি সড়ক বরিশাল-মির্জাগঞ্জ-বরগুনা মহাসড়কের সুবিদখালীর তিন রাস্তার মোড় থেকে সুবিদখালী বাজারসংলগ্ন ঢালাই ব্রিজ পর্যন্ত এক কিলোমিটার ও সুবিদখালী বাজার সড়ক।এতে ছোট বড় গর্তের থাকায় সড়ক দুটি এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। গর্তের সৃষ্টি হয়েছে ফলে এ সড়কে যাত্রীবাহী বাস, অটোবাইক, পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় গাড়ী চালকের অনেকেই জানান, সড়ক দুটি অতিরিক্ত ঝুঁকি পূর্ণ হওয়ায় গাড়ি চালানোর সময় বুক থরথর করে ওঠে ও যাত্রীদের মাঝে ভীরি সৃষ্টি হয়।দ্রুত রাস্ত দুটির মেরামতের জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন তারা।

সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ হাওলাদার বলেন, স¤প্রতি এই মহাসড়ক ও বাজার সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে জানচলাচল করছে। তিনি বলেন। তিনি দ্রুত সড়ক নির্মাণের দাবি জানান।

মির্জাগঞ্জে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আজিমু-উর-রশিদ এ প্রসঙ্গে বলেন, গেল বর্ষায় প্রচুর বৃষ্টিপাতে জনপদের ১৫কি.মি. কাঁচাপাকা সড়ক ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তবে পর্যায়ক্রমে সব সংস্কারের কাজ চলছে। অন্য যেসব সড়কের সংস্কার দরকার দ্রুত সময়ে সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।