৫ দিন ধরে বাবার পচা মরদেহের পাশে ছেলে

প্রকাশিত: ৩:৪৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২০
590620334

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ৮৫ বছরের বৃদ্ধের মৃত্যু হয় গত ২৯ ডিসেম্বর। তার সঙ্গে ছোট ছেলে, পাশের বাসায় থাকতো বড় ছেলে। ২ ডিসেম্বর বড় ছেলে এসে দেখে বাবার পচা মরদেহ মাটিতে পড়ে আছে। পাশে বসে আছে তার ছোট ভাই।পরবর্তীতে বৃদ্ধের বড় ছেলে পুলিশকে খবর দেয়, তবে ছোট ছেলে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়।ভারতের কলকাতার বেহালার পর্ণশ্রী এলাকায় এঘটনা ঘটেছে।ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮৫ বছর বয়সী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ যক্ষ্মায় ভুগছিলেন। গত ২৯ ডিসেম্বর তার মৃত্যু হয়। বৃদ্ধ রবীন্দ্র ঘোষের সঙ্গে তার ছোট ছেলে অজিত ঘোষ থাকতেন। বড় ছেলে অশোককুমার ঘোষ থাকতেন বাসার কাছেই। সপ্তাহে একবার বাবার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন তিনি। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার বাড়িতে ঢুকতেই পচা গন্ধ পান অশোক। ঘরে ঢুকে দেখেন, তার বাবার মরদেহ মাটিতে পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পর্ণশ্রী থানায় খবর দেন তিনি। পুলিশ এসেও পুরো বিষয়টি দেখে অবাক।

পুলিশ জানিয়েছে, অজিত মানসিক ভারসাম্যহীন। কাজকর্ম করেন না। বাবার সঙ্গেই থাকতেন তিনি। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে অজিতের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।অশোক ষোষ বলেন, তিনি যে সময় বাড়িতে ঢোকেন সে সময় তার ছোট ভাই অজিত ছিলেন। বাড়িতে ঢোকার মুখে পচা গন্ধ পেয়ে সন্দেহ হয়। ঘরে ঢুকে দেখেন, বাবার পচা-গলা দেহ পড়ে আছে। স্তম্ভিত অবস্থায় তিনি পর্ণশ্রী থানার পুলিশকে ফোনে সব জানান। পুলিশ এসে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ-পশ্চিম বিভাগের ডিসি নীলাঞ্জন বিশ্বাস বলেন, অজিত কুমার ঘোষকে আমরা পাইনি। কোথায় গিয়েছেন, তাও জানি না। তবে আমরা খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছি।পুলিশ বলছে, শহরে এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে। মানসিক অসুস্থতা থেকেই এই ধরনের কর্মকাণ্ড করছেন অনেকে। এর আগে রবিনসন স্ট্রিট ছাড়াও আনন্দপুর, পর্ণশ্রীসহ শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে।বছর চারেক আগে কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটে বোনের মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন ধরে ঘরের ভেতর দেহ রেখে দিয়েছিলেন পার্থ দে নামের এক ব্যক্তি।