সাতক্ষীরায় সরিষা ক্ষেতে চলছে মধু চাষের মহাউৎসব

প্রকাশিত: ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় সরিষার চাষ ভাল হয়েছে। মাঠের চারিদিকে শুধু হলুদের সমারোহ। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে ফুল থেকে মধু আহরণ। সরিষার ক্ষেতের চারি পাশে বসানো হয়েছে মৌবক্স। মধু সংরক্ষণের জন্য চলছে প্রক্রিয়া জাতকরণ। রপ্তানির জন্য বিদেশি ক্রেতাদের নিকট পরীক্ষামূলক ভাবে এই মধু পাঠানো হয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করতে পারলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে।

কৃষিসম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবার ১১ হাজার ৫শ হেঃ জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। এ বছর সরিষা ক্ষেতে রোগ বালাই নেই। মধু আহরণের জন্য ৩ হাজার মৌচাষী ১০ হাজারের বেশি মৌবাক্স বসিয়েছে। সুন্দর বন ঘেষা এই জেলায় মধু উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭শ মেঃ টন ।

সদর উপজেলার তলুই গাছা গ্রামের কৃষক আমিনুর, শহরআলী, হরসিত, আহমেদ জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন বেশ ভাল। মৌমাছি ফুলের পরাগায়ন ঘটায়। যার ফলে ফলন ১৫ থেকে ২০ ভাগ বৃদ্ধি পায়।

মৌচাষী আলী হোসেন, আজগর, হামিদুল, জিয়াদ আলী জানান, মধুর দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় প্রতি বছর বাড়ছে মৌচাষীর সংখ্যা। কর্মসংস্থান হয়েছে বেকার যুবকদের। এই মধু বিদেশে পাঠাতে পারলে তারা আরও বেশি লাভবান হতো বলে জানান ।

মধু ব্যবসায়ী মোকারম হোসেন জানান, তিনি শহরের রসূলপুর এলাকায় মধু প্রক্রিয়াজাত করন মেশিন স্থাপন করেছেন। নাম মাত্র মুল্যে তিনি এখানে মধু প্রক্রিয়াজাত করেন। মধু বিদেশে রপ্তানি করার জন্য ইতি মধ্যে বিদেশি ক্রেতাদের সাথে কথা হয়েছে। পরীক্ষামূলক ভাবে কিছু মধু সে সব দেশে পাঠানো হয়েছে। সরকার যদি মধু রপ্তানি নিয়ম কানুন কিছুটা শিথিল করতো তবে মধু উৎপাদনকারি ও ব্যবসায়ীদের ভাল হত।

জেলা কৃষিসম্প্র্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নূরুল ইসলাম জানান, জেলার প্রতিটি উপজেলায় সরিষার চাষ হয়েছে। সরিষা ক্ষেত থেকে মৌমাছি মধু আহরণ করলে ফষলের কোন ক্ষতি হয় না। সরিষা ফুলের মধু সব চেয়ে বেশি উপকারি।