দেবরের পুরুষাঙ্গ কর্তন করে কারাগারে গেলেন ভাবি

প্রকাশিত: ১১:৫৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : হোটেলে যাওয়ার পরপরই ফাতেমা সামিউলের চোখে-মুখে চেতনানাশক স্প্রে করেন। এতে সামিউল অজ্ঞান হয়ে পড়েন। অজ্ঞান থাকাকালে তার পুরুষাঙ্গের মাথা কেটে দেন ফাতেমা।

ঘণ্টা দুয়েক পর সামিউলের জ্ঞান ফিরলে নিজেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে ফাতেমা নিজেই হোটেলের বাইরে অবস্থানরত অজ্ঞাত ২-৩ জনের সহায়তায় সামিউলকে সিএনজি অটোরিকশাতে করে ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেও চিকিৎসাসেবা না পাওয়ায় সামিউলকে বিকেল ৫টার দিকে আল মানার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সামিউল এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।

সামিউল নামের ওই ব‌্যক্তির পুরুষাঙ্গ কর্তনের প্রায় দেড় মাস পর ২২ ডিসেম্বর তার মেজ ভাই শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। পরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন পশ্চিমদী শ্যামপুর এলাকা থেকে সামিউলের বড় ভাবি ফাতেমা আক্তার সুমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই অমল কৃষ্ণ দে দুই দিনের রিমান্ড শেষে ফাতেমাকে আদালতে হাজির করে ফের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ইলিয়াস উদ্দিন মৃধা ও সাইফুল ইসলাম রনি রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২৩ ডিসেম্বর এ আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম সামিউল ইসলাম স্টিলের প্লেইন শিটের দোকানে চাকরি করেন। তিনি তার বেতনের টাকা ভাবি ফাতেমার কাছে জমা রাখেন। গত ৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সামিউল কেরানীগঞ্জের বাসা থেকে কাজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। এ সময় ফাতেমা মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানান যে, তিনি বঙ্গবাজারে কেনাকাটা করতে যাবেন। সেখান থেকে পীর ইয়ামেনী মার্কেটে যাবেন। সামিউলকে ইয়ামেনী মার্কেটে থাকতে বলেন ফাতেমা। তার কাছে রাখা টাকা সামিউলকে দেবেন বলেও জানান ফাতেমা। সামিউল সেখানে যান। তখন ফাতেমা জানান, রাস্তায় দাঁড়িয়ে ৫ লাখ টাকা হস্তান্তর করা ঠিক হবে না। পীর ইয়ামেনী আবাসিক হোটেলের পঞ্চম তলার ৫১৪ নম্বর কক্ষে টাকা হস্তান্তর করা হবে, এ কথা বলে সামিউলকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।