শেরপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৭ ডাকাত গ্রেফতার,অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশিত: ১:৫৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২০

নিউজ ডেস্ক : বগুড়ার শেরপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন ভারতীয় নাগরিকও রয়েছেন। এসময় তাদের হেফাজতে থাকা একটি ধারালো চাকু, দুইটি হাসুয়া, লাঠি-দড়ি উদ্ধার করা হয়। গত বুধবার দিনগত রাতে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের দলিল গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) মো. গাজিউর রহমানের নেতৃত্বে থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন-সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ভেংড়ী গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে নজরুল ইসলাম বিশা (৪০), রায়গঞ্জ উপজেলার কোদলা দিঘর গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে সাহেদ আলী (৪২), একই উপজেলার দেবরাজপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আশরাফ আলী (৪২), নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার মারিয়া গ্রামের মৃত খোকা মিয়ার ছেলে মনির হোসেন ওরফে মুচি (৫০), বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে রাসেল আহমেদ (২১), শেরপুর উপজেলার পানিসারা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে রুবেল আহমেদ (২০) ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গংগারামপুর গ্রামের মৃত গনেল চন্দ্র সরকারের ছেলে শ্রী জয় চন্দ্র সরকার (১৯) (বর্তমানে শেরপুর পৌর শহরের উপশহর পুর্ণ্যাতলা নামকস্থানে বাড়িভাড়া নিয়ে বসবাস করে)।

গতকাল বৃহষ্পতিবার দুপুরে শেরপুর থানা চত্বরে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গাজিউর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃতরা উপজেলার ভবানীপুর বাজারের পশ্চিম পাশে অবস্থিত দলিল গ্রামে সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপনে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সদস্যরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু এরই মধ্যে পুলিশ তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেন। তবে অস্ত্রসহ ওই সাত ডাকাতদলের সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছেন। এছাড়া তারা বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নওগাঁ, নাটোর ও রাজশাহীসহ আশপাশের জেলাগুলোতেও ডাকাতি, গরুচুরি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলেও স্বীকার করেন তারা।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতদের নিকট থেকে অপরাধ কর্মকা-ের তথ্য উৎঘাটনের জন্য আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তাই দশদিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে গতকাল বিকেলেই তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।