ঘুরে দাঁড়িয়েও হার বাঁচাতে পারল না পাকিস্তান

প্রকাশিত: ৪:১২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০২০

স্পোর্টস ডেস্ক :নিউজিল্যান্ড সফরের শুরুতেই ধাক্কা খেল পাকিস্তান। অকল্যান্ডে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সফরকারিদের ৫ উইকেট আর ৭ বল হাতে রেখে হারিয়েছে কিউইরা। এতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিক দল।

অকল্যান্ডে বারবার বিপদে পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। প্রথমে ব্যাটিং করে ২০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারানোর পরও ১৫৩ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় শাদাব খানের দল।

জবাবে ১১০ রানে ৪ আর ১২৯ রানে নিউজিল্যান্ডের ৫ উইকেট তুলে নিয়েও স্বাগতিকদের জয় রুখতে পারেনি পাকিস্তান। টিম শেইফার্ট (৪৩ বলে ৫৭), গ্লেন ফিলিপস (১৮ বলে ২৩) আর মারমুখী মার্ক চ্যাপম্যানকে (২০ বলে ৩৪) আউট করলেও জেমস নিশাম আর মিচেল স্যান্টনার ম্যাচে উত্তেজনা তৈরির সুযোগটা আর দেননি। নিশাম ১০ বলে ২ ছক্কায় ১৫ আর স্যান্টনার ৮ বলে এক ছক্কায় ১২ রানে অপরাজিত থাকেন।

পাকিস্তানের হারিস রউফ ২৯ রানে ৩টি আর শাহীন শাহ আফ্রিদি ২৭ রানে নেন ২টি উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডের বোলিং তোপে ২০ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারিরা। সেখান থেকে দারুণভাবে তারা ঘুরে দাঁড়ায় শাদাব খান আর ফাহিম আশরাফের ব্যাটে। ২০ ওভারে তুলে ৯ উইকেট ১৫৩ রান।

ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৮ রানের মাথায় সাজঘরের পথ ধরেন ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক (০)। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে একটু স্বস্তি পেয়েছিল সফরকারিরা। ২০ রান তুলে ১ উইকেটে।

সেখান থেকে টানা তিন বলে তিন উইকেট নেই। জ্যাকব ডাফির করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে রিজওয়ান (১৭ বলে ১৭), পঞ্চম বলে সাজঘরের পথ ধরেন মোহাম্মদ হাফিজ (০)।

পরের ওভারের প্রথম বলে আউট হায়দার আলিও (৩)। স্কট কাগিলিনের ফিরতি ক্যাচ হন এই ব্যাটসম্যান। এরপর খুশদিল শাহও ২০ বলে ১৬ রানের ধীর ইনিংস খেলে ফিরলে ৩৯ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান।

সেখান থেকে একটার পর একটা জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শাদাব খান। ৩২ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় ৪২ রানের লড়াকু এক ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার।

শেষদিকে ফাহিম আশরাফ ১৮ বলে ২টি চার আর ৩টি ছক্কায় করেন ৩১ রান। এছাড়া একটি করে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ, শাহীন শাহ আফ্রিদিরা। ওয়াহাব ৫ বলে ৯ আর শাহীন শাহ ৫ বলে করেন হার না মানা ১০ রান।

কিউই বোলারদের মধ্যে জ্যাকব ডাফি ৪টি, স্কট কাগিলিন নেন ২টি উইকেট। একটি করে উইকেট শিকার ইশ সোধি আর ব্লেয়ার তিকনারের।