নন্দীগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস আজ

প্রকাশিত: ৩:২৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা পাক-হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বগুড়ার নন্দীগ্রামে স্বাধীনতার বিজয় পতাকা উত্তোলন করেছিল।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় মুক্তিযোদ্ধারা আবু বক্করের নেতৃত্বে ভারতে ইউপি ডেরাডং সাব ডিভিশনে ভান্ডুয়া সামরিক কেন্দ্রের ৭ নম্বর সেক্টরের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ভারত-বাংলাদেশের হিলি সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ সময় তারা পাক সেনা ও রাজাকারদের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করে।

পরে নন্দীগ্রাম আশার পথে কাহালুর কড়ই বামুজা গ্রামে পাক হানাদারদের সঙ্গে তাদের যুদ্ধ হয়। ওই যুদ্ধে ১৮ জন পাক সেনা নিহত হয়।

এরপর আবু বক্করের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ৯ ডিসেম্বর নন্দীগ্রামে প্রবেশ করে। এখানে ৩ দফা যুদ্ধ করতে হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের। প্রথমে ১১ ডিসেম্বর নন্দীগ্রামের মন্ডল পুকুর সিএন্ডবির রাস্তার পাশ থেকে পাক সেনা ও তাদের দোসরদের ওপর আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধারা। ওই দিন রণবাঘা বড় ব্রীজের নিকট রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়।

অপরদিকে, বেলঘরিয়ায় পাক সেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সেই যুদ্ধে একজন পাক সেনা আত্মসমর্পণ করে।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক সেনারা রাজাকারদের সহযোগীতায় চাকলমা গ্রামের আকরাম হোসেন, বাদলাশন গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ, রুস্তমপুর গ্রামের মহিউদ্দিন, ভাটরা গ্রামের আব্দুল সোবাহান, নন্দীগ্রামের মোফাজ্জল হোসেন, হাটকড়ই গ্রামের ছমিরউদ্দিন ও তার দুই ছেলে আব্দুল রাজ্জাক ও আব্দুল রশিদকে নির্মম ভাবে হত্যা করে।

৭১ এর ১২ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা থানায় আক্রমণ চালিয়ে প্রায় দু’শ পাক সেনা ও রাজাকারদের সঙ্গে লড়াই করে। সেই যুদ্ধে ৮০ জন রাজাকারকে আটকসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করে তারা।

এছাড়া, নন্দীগ্রামের ডাকনীতলায় পাক সেনা ও রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন-মরণ যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। অবশেষে ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার ও রাজাকারদের হটিয়ে নন্দীগ্রাম মুক্ত করে স্বাধীনতার বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন।