বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যা ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৮:২৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২, ২০২০ স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হত্যা জিরো টলারেন্সে নামিয়ে আনার কথা বার বার বলা হলেও তা বন্ধ করা যায়নি। সীমান্তে গত চার বছরের মধ্যে সব চেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ২০১৯ সালে। বেসরকারি সংখ্যায় সীমান্ত হত্যার সংখ্যা ৪৩ বলা হলেও বিজিবির হিসেবে তা ৩৫। তবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হিসেবে এ সংখ্যা আরও কম। সীমান্তে এ হত্যায় বিএসএফকে উদ্বিগ্নতার কথা জানিয়েছে বিজিবি। বন্ধুত্বের পরও দুই দেশের সীমান্তকে রক্তপাতমুক্ত করা যাচ্ছে না কিছুতেই৷ গত এক দশকে সীমান্তে ২৯৪ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ। গেল বছর সংসদে দাঁড়িয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল৷ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৯ সালে সীমান্তে নিহত হন ৬৬ জন। ২০১০ সালে ৫৫, ২০১১ সালে ২৪, ২০১২ সালে ২৪, ২০১৩ সালে ১৮, ২০১৪ সালে ২৪, ২০১৫ সালে ৩৮, ২০১৬ সালে ২৫, ২০১৭ সালে ১৭ ও ২০১৮ সালে তিনজন। যদিও সে সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ২০১৯ সালের সীমান্ত হত্যার পরিসংখ্যান উল্লেখ করেননি। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিজিবি সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালে সীমান্ত হত্যার শিকার হয়েছেন ৩৫ বাংলাদেশি। গত ২৫-৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন হয়। সেখানে ‘যৌথ আলোচনার দলিল’ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে নয়াদিল্লিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে ৪৯তম সীমান্ত সমন্বয় সম্মেলন শেষ হয়। বিজিবি প্রধানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী ভিভেক জোহরীর নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশ নেয়। সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিজিবি প্রধান বলেন, নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত সীমান্ত সম্মেলনে বিএসএফ ডিজিকে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে উল্লেখ করেছি যে, ‘২০১৯ সালে সীমান্তে মৃত্যুর সংখ্যা বিগত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিএসএফ ডিজিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিএসএফ প্রধান আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন।’ বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ফেনসিডিল এবং ইয়াবা তৈরির কারখানা পরিচালনার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। এ ধরনের তথ্য বিএসএফকে জানানো হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উভয়পক্ষই মাদক, অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক দ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধে গৃহীত পদক্ষেপ আরও জোরদার করতে সম্মত হয়। বিজিবি মহাপরিচালক জানান, বাংলাদেশ সরকার ২৭৭ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। এ কাজ বাস্তবায়নে বিজিবির চাহিদা অনুযায়ী বিএসএফ সহায়তার ব্যাপারে মতামত ব্যক্ত করেছে। এনআরসি ও সিএএ’র প্রভাবে সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের মতো অবৈধ প্রবেশ ঘটলে বিজিবি গুলি করবে কিনা জানতে চাইলে বিজিবি প্রধান বলেন, সীমান্তে বিজিবি কখনো আগে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে না। অতীতে দেখা গেছে চোরাকারবারিদের দ্বারা বিজিবি হামলার শিকার হয়েছে, হতাহত হয়েছে। এরপর নিরাপত্তার স্বার্থে বিজিবি গুলি করেছে। সীমান্তে আত্মরক্ষার্থে ছাড়া বিজিবি কখনো গুলি করে না, অবৈধভাবে কাউকে ঢুকতেও দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি। ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবির গুলিতে কিশোরসহ তিনজন নিহতের ঘটনায় বিজিবি কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নিয়ে মামলা হয়েছে। বিচারিক আদালতে মামলার শুনানি ও তদন্ত চলমান। Share this:FacebookX Related posts: ৩৫টি ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন ২০১৯ সালে সড়কে ঝরেছে ৭৮৫৫ প্রাণ একুশে পদক হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী পাপিয়ার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে অপপ্রচার বন্ধে টিভি চ্যানেল মনিটরিংয়ের দায়িত্বে ১৫ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম করোনায় আক্রান্ত ডিএমপির ৫ থানার ওসিসহ ১৬ পরিদর্শকের বদলি সর্বোচ্চ মৃত্যু ঢাকার পর চট্টগ্রামে, সর্বনিম্ন ময়মনসিংহে আল্লামা শফীর অবস্থা সংকটাপন্ন ‘বিট কয়েন’ মূল প্রতারক গাজীপুরে গ্রেপ্তার তিন ফসলী জমি ধ্বংস করে বিদ্যুৎ প্রকল্প নয়: এমপি মাসুদ চৌধুরী শেষপর্যন্ত ভাঙাতেই হচ্ছে কমলাপুর স্টেশন SHARES Matched Content জাতীয় বিষয়: ২০১৯ সালে সর্বোচ্চবাংলাদেশ-ভারতসীমান্তে হত্যা