ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ৭ দিনের আল্টিমেটাম

প্রকাশিত: ৬:১১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমার নাগের জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের পৈত্রিক বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্ত¡রে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি দিলীপ কুমার নাগের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহন করেন,“ বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি উষাতন তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট উত্তম কুমার চক্রবর্তী, দপ্তর সম্পাদক সুবীর দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক পদে্যুৎ নাগ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ, জেলা জাসদ সভাপতি অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন সাঈদ, জলা তেল গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির মিয়া, জেলা হিন্দু মহাজোটের সভাপতি জয় শংকর চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক প্রবীর চৌধুরী রিপন।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি উষাতন তালুকদার বলেন, গত ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমার নাগের বাড়ীতে হামলা করেছে রাজাকারের সন্তানের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত। বিজয়ের মাসে দুর্বৃত্তরা একজন বীরমুক্তিযোদ্ধার বাড়ীতে হামলা করে কিভাবে? এটা কি মগের মুল­ুক হয়ে গেছে? এখানে কি আইনের শাসন নেই?

তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসনকে বলি অচিরেই তাদেরকে আইনের আওতায় আনুন। না হলে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত সারা দেশে আমরা আন্দোলনের কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবো।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার চক্রবর্তী বলেন, যদি আগামী ৭ দিনের মধ্যে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার না হয়, তাহলে সারাদেশে সড়ক-মহাসড়ক অচল করে দেয়া হবে।

মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারো প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।