হংকংয়ে বিরোধী এমপিদের বহিষ্কার করে চুক্তি ভেঙেছে চীন: যুক্তরাজ্য

প্রকাশিত: ৬:০৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :হংকংয়ের নির্বাচিত আইনপ্রণেতাদের (এমপি) বহিষ্কারের আইন পাস করে চীন তিন যুগ আগে হওয়া সিনো-ব্রিটিশ চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাজ্য।

বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, হংকংয়ের নির্বাচিত আইনপ্রণেতাদের অযোগ্য ঘোষণা করতে বেইজিংয়ের নতুন নীতি আইনগতভাবে আবদ্ধ সিনো-ব্রিটিশ যৌথ ঘোষণার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

তিনি বলেন, চীন আবারও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে এবং হংকংয়ের উচ্চতর স্বায়ত্তশাসন ক্ষুণ্ন করেছে।

১৯৮৪ সালে ‘এক দেশ, দুই নীতি’র শর্তে দীর্ঘদিনের উপনিবেশ হংকংকে চীনের হাতে তুলে দিয়েছিল যুক্তরাজ্য। সেসময় ওই চুক্তিতে সই করেন চীনের তৎকালীন শীর্ষ নেতা ঝাও জিয়াং এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার।

তবে যুক্তরাজ্য মনে করে, সেই চুক্তি অন্তত তিনবার লঙ্ঘন করেছে চীন। ২০১৬ ও ২০২০ সালে হংকংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারির পর সবশেষ গণতন্ত্রপন্থী সংসদ সদস্যদের বহিষ্কারের মাধ্যমে বেইজিং চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি তাদের।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হংকংয়ের জনগণের পাশে দাঁড়াবে যুক্তরাজ্য এবং তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানাবে।

তিনি বলেন, অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে আমরা চীনকে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় নির্ধারিত দায়বদ্ধতাগুলো মেনে চলতে বাধ্য করব।

এদিকে, বেইজিংয়ের নতুন আইনে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী চার সংসদ সদস্যকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে একযোগে পদত্যাগ করেছেন শহরটির বিরোধী দলীয় আরও ১৫ সংসদ সদস্য।

এর আগে, বুধবার দিনের শুরুতে জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গণতন্ত্রপন্থী চার সংসদ সদস্যকে বহিষ্কার করেন হংকংয়ের নির্বাহী।

পরে শহরটির গণতন্ত্রপন্থী জোটের আহ্বায়ক উ চি-ওয়াই এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আজ আমরা পদত্যাগ করছি। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দয় পদক্ষেপে আমাদের অংশীদারদের, আমাদের সহকর্মীদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যদিও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ লড়াইয়ের জন্য আমরা অনেক সমস্যার মুখে রয়েছি, তারপরও কখনোই হাল ছাড়ব না।

হংকং পার্লামেন্টের মোট ৭০টি আসনের মধ্যে গণতন্ত্রপন্থীদের দখলে ১৯টি আসন। কিন্তু তাদের চারজন বহিষ্কার এবং বাকি ১৫ জনের পদত্যাগের ফলে সেখানে এখন আর গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলার মতো কেউ রইলেন না।

সূত্র: রয়টার্স, ডয়চে ভেলে