জয়পুরহাটে লেপ তোষক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে উঠছেন কারিগররা

প্রকাশিত: ৪:৩১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : শীতের আগমনি বার্তায় প্রতিটি পরিবারে শীত মোকাবেলায় লেপ তোষকের চাহিদা বেড়ে যায়। দিনে কিছুটা গরম থাকলেও রাতে ঠান্ডা ভাব পাড়ছে। এভাবেই আসি আসি করছে শীত। এতেই জয়পুরহাটের লেপ তোষক বানানোর কারিগররা বর্তমানে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন লেপ-তোষক তৈরিতে।

উত্তরাঞ্চলের ছোট জেলা জয়পুরহাট। শীত মৌসুমে এ অঞ্চলে তুলনামূলক শীতের প্রভাব বেশী থাকে। শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসাবে লেপ তোষক বানানোর কাজ শুরু হয় সেপ্টম্বর-অক্টোবর থেকেই। জয়পুরহাট শহরের রেলপট্টিতে গড়ে ওঠা লেপ তোষক বানানোর পল্লীতে ২২/২৩ জন কারিগর রয়েছেন। যারা মালিকদের লেপ তোষক তৈরির অর্ডার অনুযায়ী কাজ করে থাকেন। এতে লেপ তোষক প্রতি মজুরী হিসাবে তাদের ভাগ্যে জোটে ছোট-বড় অনুযায়ী ৩শ থেকে ৫শ টাকা।

লেপ তোষক বানানোর কারিগর রমযান আলী, আলম হোসন, হায়দার আলী, মনু মিয়, মুরাদ হোসেন, সাব্বির হোসেন জানান, সাইজ অনুযায়ী ও প্রকার ভেদে এবার লেপ তোষক বানাতে খরচ পড়ছে ৮শ থেকে ৯শ টাকা পর্যন্ত। মজুরি, তুলা সহ লেপ তোষক বানানোর কাজে ব্যবহৃত জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় লেপ তোষকের দাম গড়ে ২শ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ আলী বেডিং ষ্টোরের মালিক আনিসুর রহমান।

বর্তমান বাজারে গার্মেন্টস ঝুট দিয়ে তৈরি সিঙ্গেল তোষক ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা এবং ডাবল তোষক সাইজ অনুযায়ী ৯শ থেকে এক হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গত বছর শিমুল তুলা ছিল ৪শ টাকা কেজি, এবার বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬শ টাকা। গার্মেন্টস ঝুট গত বছর ২৫/৩০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এবার ৫৫/৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তোষক বিক্রেতা রমযান আলী। অন্যান্য তুলাও কেজি প্রতি ২০/২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।