নতুন বইয়ের উৎসবে খুলনার শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ১১:৪৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১, ২০২০
????????????????????????????????????

আতিয়ার রহমান,খুলনা : বছরের প্রথম দিন সরকারের দেয়া বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক পেয়ে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মাতলো খুলনার শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে খুলনা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে এবছর চার কোটি ৬১ লাখের বেশি বই বিতরণ করা হয়। এরমধ্যে খুলনা জেলায় মাধ্যমিক স্তরের ৫৯৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই লাখ ৪৫ হাজার ২৭০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩৩ লাখ ২১ হাজার ৩৯৩টি পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকালে খুলনা জিলা স্কুল মাঠে জেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা অফিসের যৌথ আয়োজনে জেলা পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কেসিসি মেয়র বলেন, সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপের ফলে এ বছর সারা দেশে চার কোটি ২৭ লাখ শিক্ষার্থী বিনামূল্যে বই পাচ্ছে। সরকারের ধারা অব্যাহত থাকলে শিক্ষার প্রসারে সকল অগ্রযাত্রা অব্যহত থাকবে। এসময় কোচিং পরিহার করে পাঠ্যপুস্তকের ওপর বেশি জোর দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দেন মেয়র। ছেলেমেয়েরা কোথায় যায় কি করে সে বিষয়ে অভিভাবকদের নিয়মিত খোঁজ খবর রাখতে পরামর্শ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২০ শিক্ষাবর্ষে দেশে চার কোটি ২৭ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে ৩৫ কোটি ৩১ লাখ পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে। বর্তমানে খুলনা জেলায় শিক্ষার হার ৬৩ শতাংশ। খুলনা জেলায় সরকারি বেসরকারি মিলে ৭৩টি কলেজ, ৪২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১২৫টি মাদ্রাসা ও ৬৯টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট দুই লাখ ৭৯ হাজার ৭২০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, উপপুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমান, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক প্রফেসর শেখ হারুন অর রশীদ, উপপরিচালক নিভা রাণী পাঠক এবং খুলনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফারহানা নাজ । খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে পাঠ্যপুস্তক উৎসবে স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা শিক্ষা অফিসার খো. রুহুল আমীন।

ধোবাউড়ায় তদারকি না থাকায় মহিলা মার্কেট এখন পুরুষদের দখলে