জাল টাকার কারবার বন্ধে বিশেষ আইনে মামলা করবে পুলিশ

প্রকাশিত: ৫:৩৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : দীর্ঘ পাঁচ-ছয় বছর ধরে যোগসাজসে জাল নোটের কারবার করছে সংঘবদ্ধ চক্র। কারখানা স্থাপন করে তৈরি জাল টাকা ঈদ, দুর্গাপূজার মতো বড় উৎসবকে টার্গেট করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে সরবরাহ এবং বিক্রয় করতো। তবে বার বার গ্রেফতার হলেও বেড়িয়ে একই পেশায় জড়িয়েছে চক্রের সদস্যরা।

শনিবার দুপুরে ডিএমপি’র মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার সংবাদ সম্মেলন করে এতথ্য জানান।

জাল টাকা তৈরি, কারবার বন্ধ এবং চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে তাই এবার বিশেষ আইনে মামলার কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

৬০ লাখ জাল টাকা, ১১৩টি জাল ডলার ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ চক্রের মাস্টারমাইন্ড কাজি মাসুদ পারভেজসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।

অভিযানে তাদের কাছে থেকে জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম হিসেবে একটি ল্যাপটপ, দুটি স্ক্যানার, একটি লেমিনেটর, দুটি প্রিন্টার, ১২ টি ট্রেসিং প্লেট, ৫ রিম জাল টাকা ছাপানোর কাগজ জব্দ করা হয়।

হাফিজ আক্তার বলেন, চলতি মাসে আমরা তিনটি জাল টাকার তৈরির চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান করেছি। তাদের দেওয়া তথ্যমতে গত ২৩ অক্টোবর রাজধানীর কোতোয়ালি আদাবর থানাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৫৮ লাখ ৭০ হাজার জাল টাকা, ১১৩ টি জাল ডলার ও জাল তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, এই পুরো চক্রের মাস্টারমাইন্ড কাজি মাসুদ পারভেজ। মাসুদ পারভেজ ছাড়াও এ চক্রের মোহাম্মদ মামুন, শিমু, রুহুল আলম, সোহেল রানা, নাজমুল হককে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড কাজী মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সে এর আগেও গ্রেফতার হয়েছে। বারবার গ্রেফতার হয়ে বের হয়ে এসেছে। তাই এবার আমরা তার বিরুদ্ধে স্পেশাল অ্যাক্টে মামলা করবো। যেন সে সহজে বের হয়ে না আসতে পারে।

হাফিজ আক্তার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা দীর্ঘ পাঁচ ছয় বছর ধরে পরস্পরে যোগসাজশে জালনোট প্রস্তুত করে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করছে। তারা বড় কোন উৎসব দুর্গাপূজা ইত্যাদি অনুষ্ঠানকে টার্গেট করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের সহযোগিতার মাধ্যমে জালটাকা সরবরাহ করে এবং বিক্রি করে।

ডিবি কর্মকর্তা জানান, এক লাখ টাকার জালনোট তারা ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে।