রাশিয়া-চীনের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি ইরানের

প্রকাশিত: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :ইরানের ওপর থেকে জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর রাশিয়া এবং চীনের কাছ থেকে সমরাস্ত্র কেনার ব্যাপারে দেশটির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এ বিষয়ে কাতারভিত্তিক আল-জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি বলেন, তার দেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ওই দুই দেশের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।

তিনি বলেন, ইরানের বিমান বাহিনীর সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের ব্যাপারে মস্কোর সঙ্গে তেহরানের গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হয়েছে। ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার ফলে তার দেশের অস্ত্র রফতানি ও অন্য দেশের কাছ থেকে অস্ত্র আমদানি করার উপযুক্ত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি মধ্যপ্রাচ্যে সমরাস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু করার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এ অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হলে পুরো মধ্যপ্রাচ্য বারুদের স্তুপে পরিণত হবে। জেনারেল হাতামি বলেন, তার দেশ পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গেও সামরিক ও নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত রয়েছে।

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার দেশের উপর দিয়ে আর্মেনিয়ায় রুশ অস্ত্র বহন করার গুজব জোরালোভাবে নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী দেশ হিসেবে তুরস্ক কূটনৈতিক উপায়ে নাগোরনো-কারাবাখ সংকট সমাধানের চেষ্টা চালাবে বলে তেহরান আশা করে।

এক প্রশ্নের জবাবে জেনারেল হাতামি বলেন, ইরান তার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে কোনো অবস্থায়ই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করবে না। কেউ যেন তেহরানের কাছ থেকে এমন কিছু আশা না করে।

এদিকে গত রোববার ওয়াশিংটন থেকে এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা দেশ ইরানে অস্ত্র বিক্রি করলে বা ইরান থেকে অস্ত্র কিনলে ওয়াশিংটন সেই ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।

পম্পেও দাবি করেন, ইরানের কাছে প্রচলিত সমরাস্ত্র বিক্রি কিংবা তেহরানের কাছ থেকে অস্ত্র কেনা হবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘনের শামিল।

জাতিসংঘের আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রত্যাহার হয়ে যাওয়ার পর পম্পেও এ প্রতিক্রিয়া জানান। ২০১৫ সালে ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের ভিত্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে।