সাপাহারে বশতবাড়ীতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট

প্রকাশিত: ৫:১১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২০

নাজমুল হক নাহিদ, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে রাতের অন্ধকারে একটি বিবদমান সম্পিত্তির উপর নির্মিত বশত বাড়ী ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। গত রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার হাপানিয়া আন্ধার দিঘী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

সংবাদ পেয়ে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন ও গ্রামবাসীর দেয়া তথ্য মতে জানা গেছে , গ্রামের মধ্যে বশতবাড়ী নির্মান যোগ্য বিবদমান ওই জায়গায় পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত দাবী করে ওই গ্রামের আব্দুস সোবহান এর ছেলে কাওসার আলী ও রুবেল বিগত ৩বছর পূর্বে সেখানে টিনের ছাউনি ও বাঁশের বেড়া দিয়ে ৩টি ঘর নির্মান করে বসবস করে আসছিল। হঠাৎ করে ঘটনার দিন রাত ৩টার দিকে একই গ্রামের প্রতিপক্ষের নার্গিস আক্তার তার স্বামী রাকিব হোসেন ও তার বোন কহিনুর বেগম ও কহিনুরের স্বামী এমদাদুল হক পাশ্ববর্তী কামাশপুর গ্রাম হতে একদল লোক ভাড়া করে নিয়ে এসে ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

হঠাৎ আক্রমনের শিকার হয়ে ঘুম থেকে জেগে রুবেল এবং তার স্ত্রী ও মা দিক বিদিক ছুটা ছুটি করতে থাকলে প্রতিপক্ষের লোকজন সমস্ত বশতবাড়ী ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে সম্পুর্ন ছাউনির টিন ও বেড়ার আসবাবপত্র সহ ঘরের মধ্যে থাকা যাবতীয় জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে পালিয়ে যায়। সকালে ঘটনা স্থালে গিয়ে বশতবাড়ীটি যেন এক বিরান ভুমি হিসেবে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এসময় সেখানে থাকা প্রতিপক্ষের কহিনুর বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান যে, ওই জায়গাটি আমাদের আমরা আমার মা’র অংশ সূত্রে প্রাপ্ত তারা গায়ের জোরে সেখানে বশত বাড়ী নির্মান করেছে। বর্তমানে উক্ত সম্পত্তি নিয়ে আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা বিচারাধিন রয়েছে। রাতের অন্ধকারে রুবেল ও তার লোকজন বাঁশ ও কাঠের খুঁটি এনে তাদের ভাঙ্গা চুড়া বাসাটি স্থায়ীকরণের জন্য কাজ করতে উদ্যত হলে আমরা তাতে বাধা দেই এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট ঠেলা ঠেলি ও হাঙ্গামাতে উভয় পক্ষের ৫জন আহত হয়।

আহতরা হলেন কহিনুর পক্ষের কামাশপুর গ্রামের নুরুল হকের ছেলে এমদাদুল (৩৬) ও তার আপন ভাই শফিকুল ইসলাম (২৮) ও মামুন হোসেন (২২)। কাওসার ও রুবেল পক্ষের বাসাতে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা রুবেল (২৬) ও তার মা মরিয়ম বেগম (৬০)। ভোরেই প্রত্যেকে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করা হলে কহিনুর পক্ষের মামুনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

এ বিষয়ে থানার অফিসার ইচার্জের দায়িত্বে থাকা ওসি (তদন্ত) মাহমুদ হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ও এখনও পর্যন্ত থানায় কোন পক্ষই কোন অভিযোগ দাখিল করেনি বলে জানিয়েছেন তবে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন।