গৌরীপুরে রাষ্ট্রপতি অ্যাওয়ার্ড পেলো ১০জন তরুণ-তরুণী

প্রকাশিত: ৭:০২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০২০

কমল সরকার.গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : মানবকল্যাণ, বৃক্ষরোপন, বাল্যবিয়ে-মাদকমুক্ত সমাজ ও স্কাউটস্রে মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সাংগঠনিক দক্ষতার জন্য ময়মনসিংহের গৌরীপুরের ১০জন তরুণ-তরুণী পেলো রাষ্ট্রপতি অ্যাওয়ার্ড। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন গৌরীপুর আর.কে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামি আল জাবির মাহিন, তৌসিফ হাসিন, জাহাঙ্গীর আলম, তীর্থ পাল, দিগন্ত সুন্ময় সরকার দীপ্ত, ডৌহাখলা ইউনিয়নের চন্দপাড়া মুক্ত স্কাউট গ্রুপের সদস্য মোঃ নাফিজুল ইবনে বাসার, তানভীর, শাওন চন্দ্র খাজাঞ্জী, মাসুমা আক্তার ইভানা, তাবাসুম আক্তার তোবা ও জান্নাতুল ফেরদৌস আঁখি। গৌরীপুর আরকে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আব্দুল মালেক জানান, অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করবেন।

জানা গেছে , তৌসিফ হাসিন ২০২১সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। গৌরীপুর আরকে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি ও গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিইসিতে জিপিএ-৫ ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি অর্জন করে।

উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের মাওহা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম ও বিষমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তহুরা খাতুনের ছেলে। সে ডাক্তার হতে চায়। পৌর শহরের স্টেশন রোডের রতন মিয়া ও জাহারানা বেগম দম্পত্তির ছেলে জাহাঙ্গীর হাসান জয়। সে পড়াশুনার পাশাপাশি ফুটবল খেলায়ও পারদর্শী।

সামি আল জাবির মাহিন সে প্রশাসন ক্যাডারের একজন চাকুরীজীবী হতে চায়। পৌর শহরের বালুয়াপাড়ার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও রাজিয়া সুলতানা আকন্দের ছেলে। ২০২০সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে এ বিদ্যালয় থেকে উর্ত্তীণ হয়। বর্তমানে ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজে একাদশে অধ্যয়নরত। জেএসএস ও পিইসিতে জিপিএ-৫ ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি অর্জন করে।

মধ্যবাজারের রবি চন্দ্র পাল ও লিপি রানী পাল’র ছেলে তীর্থ পাল দিগন্ত। বাড়িওয়ালাপাড়ার সুজিত সরকারের ছেলে সুন্ময় সরকার দীপ্ত। ওরা উভয়েই ২০২১এসএসসি পরীক্ষার্থী।

অপরদিকে চন্দ্রপাড়া মুক্ত স্কাউট থেকে অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত মোঃ নাফিজুল ইবনে বাসার তানভীরও গৌরীপুর আরকে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ২০২১সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে তাঁতকুড়া গ্রামের ইবনে বাসার ও নাসিমা খাতুন দম্পতির পুত্র। এদিকে ডাক্তার হতে চায় শাওন চন্দ্র খাজাঞ্জী। সে চরশ্রীরামপুর গ্রামের রমেন্দ্র চন্দ্র খাজাঞ্জী ও দিপ্তী রানী খাজাঞ্জী দম্পতির ছেলে। বাবা একজন কৃষক ও মাতা গৃহিণী। সে বর্তমানে আলমগীর মনসুর মিন্টু মেমোরিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। মাসুমা আক্তার ইভানা।

সে উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের বারুয়ামারী গ্রামের মোঃ আবুল বাসার ও লুৎফা বেগম দম্পতির মেয়ে। তাবাসুম আক্তার। সে ভাংনামারী ইউনিয়নের গ্রামের বারুয়ামারী গ্রামের মোঃ আবু তাহের ও তাসলিমা বেগম দম্পতির মেয়ে। জান্নাতুল ফেরদৌস আঁখি। সে ঘোড়ামারা গ্রামের মোবারক হোসেন ও আছিয়া খাতুন দম্পতির মেয়ে।