ধোবাউড়ায় কদর নেই প্রথম নির্মিত শহীদ মিনারের

প্রকাশিত: ২:১৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১, ২০২০

ইস্রাফিল হোসাইন পাপ্পু, ধোবাউড়া : ধোবাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল অফিসের উত্তর পার্শ্বে সাবেক থানার সন্মুখে নির্মিত উপজেলার এই প্রথম শহীদ মিনার। ভাষা সৈনিকদের আত্মত্যাগের স্মৃতির স্মারক, শহীদদের প্রতি সম্মান জানানোর গর্বিত স্থান এটি। অথচ রয়েছে আজ অবহেলা আর অযত্নে। উপজেলায় প্রথম নির্মিত এই শহীদ মিনারটি দেখার যেন আজ কেউই নেই।

এনিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল এর সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসাইন তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে ধোবাউড়া উপজেলা প্রশাসনকে কয়েকবার অবহিত করলে, অপসারণের আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।

উপজেলা পরিষদ হওয়ার পরে পরিষদের পাশেই শহীদ মিনার নির্মিত হওয়ায় কমে যায় এর কদর। যা দীর্ঘদিন ধরেই ময়লা আবর্জনায় বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি,২৬ মার্চ,১৬ ডিসেম্বর আসলে সদর বাজার সমিতি কর্তৃক করা হয় লোক দেখানো পরিস্কার। কিন্তু নেই কোন স্থায়ী পদক্ষেপ।

শহীদদের আত্মত্যাগের স্মৃতির স্মারক, বীর সন্তানদের সম্মান জানানোর গর্বিত স্থান অবহেলায় আর অযত্নে থাকা যেন স্বাধীন হওয়া বাঙালী জাতির গৌরবে কলঙ্কের এক ক্ষত চিহ্ন।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ধোবাউড়ায় শহীদ হওয়া বীরমুক্তিযোদ্ধা যারা দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন,তাদের প্রতি শ্রদ্ধা,সম্মান জানানোর জন্য স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মিত হয়েছিল কিন্তু যা আজ জরাজীর্ণ অবস্থায় মাথা উচু করে নিজের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে। এই অবস্থায় যদি কার্যকরী কোন পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে যেন জাতির বীর সন্তানদের সম্মানকে লাঞ্ছিত করে তাদের অবহেলা করা হচ্ছে! তীব্র প্রতিবাদ আর নিন্দা প্রকাশ করে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল। এ নিয়ে স্থায়ী কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রশাসন ধোবাউড়া এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

ধোবাউড়ায় এএসপি আলমগীর হোসেনকে বিদায় সংবর্ধনা