ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৫:১৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২০ অনলাইন ডেস্ক : ধর্ষণ প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণসহ এ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) ৭০ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী এবং সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। সকালে গণভবন থেকে সাভারস্থ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মূল অনুষ্ঠান স্থলসহ দেশের ৭টি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা (ধর্ষণ) রোধ করার ব্যাপক ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে। আর সব থেকে বড় কথা মানুষের মাঝেও জনসচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার।’ সমসাময়িক কালে সামাজিক এই ব্যাধির প্রকোপ বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইদানিং ধর্ষণটা ব্যাপক ভাবে হচ্ছে এবং প্রচারও হচ্ছে। এটার যত বেশি প্রচার হয় প্রাদুর্ভাবটাও তত বাড়ে।’ সরকার ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংযুক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করেছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তাঁর সরকার ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজকের যারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলেন আপনারাই থাকবেন আগামী দিনের কর্ণধার। আপনারাই দেশটাকে পরিচালনা করে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আজকের যাঁরা নতুন প্রজন্ম তাঁরই ’৪১ এর উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়েই আমাদের কর্মচারীরা দেশ এবং জনগণের সেবা করবে, সেটাই আমার লক্ষ্য।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করুন।’ ’৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলতে থাকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই কোন ধরনের অন্যায়-অবিচার যেন না হয়। মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পায়।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কারণ, আমি জানি যে, বিচার না পেলে কি কষ্ট। আমার বাবা-মা, ভাই, ভাতৃবধূ-তাঁদেরকে যখন হত্যা করা হয়, খুনীদেরকে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল। আমার বিচার চাওয়ার কোন অধিকার ছিল না। আমি কেন ’৭৫-এর ১৫ অগাস্ট যাঁরা নিহত হয়েছিলেন তাঁদের পরিবারের কারোরই বিচার চাওয়ার কোন অধিকার ছিল না।’ তিনি বাষ্পরুদ্ধ কন্ঠে বলেন, ‘আমার বাবা-মা, ভাই মারা গেছে আমি একটা মামলাও করতে পারিনি। আমার সেই অধিকারটাও ছিল না। এই সংস্কৃতি বাংলাদেশে যেন আর না থাকে। তাঁর সরকার ক্ষতায় আসতে পেরেছিল বলেই জাতির পিতার খুনী এবং দেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। বিপিএটিসি’র রেক্টর মো. রাকিব হোসেন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ৭০ তম বুনিয়াদি কোর্সের ফলাফল হস্তান্তর করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অনুষ্ঠানে সনদ বিতরণ করেন। এবারের ৬ মাস ব্যাপী কোর্সটির শেষ একমাস করোনার কারণে অনলাইনে সমাপ্ত করা হয়। যেখানে ১৬১ জন নারীসহ ৬৬৩ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ৫০ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী সেন্টার অব এক্সিলেন্স সনদপ্রাপ্ত হন। অনুষ্ঠানে সনদপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পক্ষে মেহেদী হাসান কাওসার এবং মুনিয়া সিরাত নিজ নিজ অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন। বাসস। Share this:FacebookX Related posts: নদীপাড়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ধর্ষণের বিরুদ্ধে সমাবেশ ডেকেছে পুলিশ লাইসেন্স প্রদানে অনিয়ম দূর করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ‘যখন শুনি শিক্ষকরা নকল সাপ্লাই করে, আমার লজ্জা হয়’ সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী করোনায় পিছিয়ে যেতে পারে এইচএসসি পরীক্ষা করোনা ভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়াবেন না : তথ্যমন্ত্রী করোনাভাইরাস: আরও সাড়ে ৯ হাজার টন চাল, সোয়া ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ ‘১৫ অগাস্টের ঘাতকদের প্রশ্রয় দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান’ ১৭-১৮ ডিসেম্বর মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ পদ্মা সেতুর টোল: কোন যানবাহনে কত হবে ৬২ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে SHARES Matched Content জাতীয় বিষয়: কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণেধর্ষণের বিরুদ্ধেপ্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ