ধোবাউড়ায় দলিল লেখকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ২:০৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১, ২০২০

ধোবাউড়া প্রতিনিধি ; ধোবাউড়ায় রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখকেররুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,ধোবাউড়া সাব রেজিষ্টার অফিসের দলিল লেখক শামসুল হক উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নে মোটা অংকের টাকা নিয়ে প্রয়োজনীয় সঠিক কাগজপত্র না থাকায়, ভুয়া কাগজ তৈরি করে জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল করে বিপাকে ফেলছেন সাধারণ মানুষকে।

এমনি অভিযোগ নিয়ে উপজেলার উদয়পুর গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে নাদিউজ্জামান বিচারের আশায় ঘুরছেন জেলা সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের দ্বারে দ্বারে। এছাড়াও উপজেলার গুজিরকান্দি গ্রামে সরকারী খাস জমি অবৈধভাবে ভুয়া বানোয়াট কাগজ তৈরির মাধ্যমে, টাকা দিয়ে দাতা সাজিয়ে ১.৩৭(এক একর সাইত্রিশ) শতাংশ ভুমি রেজিঃদলিল করে দেন দুধনই গ্রামের মাজেদা খাতুন এবং নিজাম উদ্দিনের নামে। অবৈধ অর্থের এক অতৃপ্ত তৃষ্ণায় মোটা অংকের টাকা নিয়ে পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের গ্রামবাসীর মধ্যে বিবাধ সৃষ্টি করে আসছে এই লেখক।

এনিয়ে দলিল জালিয়াতির লিখিত অভিযোগকারী নাদিউজ্জামান বলেন, দুধনই মৌজাস্থিত ৮৭৫ খতিয়ানভুক্ত ৭১১ ও ৫২১৯ দাগে ০৩.২৫(তিন একর পঁচিশ) শতাংশ ভুমি বি, আর, এস রেকর্ড মূলে ভোগ দখলে দখলদার বিদ্যমান রয়েছে দুধনই গ্রামের বিধু ভুষন সাহা। কিন্তু ভুয়া একটি বি, আর, এস তৈরী করে বিধু ভুষন সাহার নামের স্থানে একই গ্রামের মৃত আঃ জব্বারের নাম বসিয়ে ছেলে মুঞ্জুরুল হককে দাতা বানিয়ে গোপনে একটি অসাধু চক্রের সহযোগীতায় দুধনই গ্রামের’ই জেসমিন আক্তারকে গ্রহিতা করে জাল দলিল বানিয়ে দলিল সম্পাদন করায়। যাহার দলিল নং-২৩৬৭।

ধোবাউড়া বাজার ব্যবসায়ী বুরোজ আলী জানান, ষ্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে . ২০ শতাংশ ভুমি ক্রয় করে। পরবর্তীতে অভিযুক্ত দলিল লেখকের কাছে দলিল করিতে গেলে সরকার নির্ধারিত টাকার পরিবর্তে অতিরিক্ত পাঁচ লক্ষ টাকা দাবী করে। এমন অভিযোগের বাহিরেও রয়েছে হয়রানী হওয়া সাধারণ মানুষের প্রতারনার নানা অভিযোগ। স্থানীয় এলাকাবসী সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত দলিল লেখক শামসুল হক একটি অসাধু চক্রের সহযোগিতায় এলাকার নিরীহ মানুষদের কৌশলে হয়রানী করে আসছে।

এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের অাশায় জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে দলিল রেজিষ্ট্রি করতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান, এখানে অতিরিক্ত অর্থ ছাড়া দলিল রেজিষ্ট্রি হয় না। এখানে অনেক রকম সিন্ডিকেট আছে। তাছাড়া দলিল রেজিষ্ট্রির নামে অতিরিক্ত মাত্রায় জালিয়াতি করেও জাল দলিল করে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে দলিল লেখক শামসুল হক বলেন, সরকারি খাস জমি দলিল করার অভিযোগ ইতিমধ্যে তদন্ত করা হয়েছে এবং বাকি সব অভিযোগ মিথ্যা। এ বিষয়ে উপজেলা সাব রেজিষ্টারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

ধোবাউড়ায় এএসপি আলমগীর হোসেনকে বিদায় সংবর্ধনা