সমন্বিত নিয়োগবিধি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের অসন্তোষ দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৫:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২০ নিউজ ডেস্ক :প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের আওতাভুক্ত ‘সমন্বিত নিয়োগ বিধিমালা-২০২০’ নিয়ে সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ কারণে খসড়াটি প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা। এই বিধি বাস্তবায়িত হলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা পদোন্নতি পেয়ে কর্মকর্তা পদে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদন করতে পারবেন না। এ কারণে গত কয়েক দিনে এই নিয়োগবিধি নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। খসড়া নিয়োগবিধিতে বলা হয়েছে, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের ২৫৮৯টি পদে সরাসরি নিয়োগ হবে। নিয়োগে ৮০ শতাংশ পদ বিভাগীয় প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে এবং বাকি ২০ ভাগ পদ উন্মুক্ত প্রার্থীদের মধ্য থেকে পূরণযোগ্য। বিভাগীয় প্রার্থী বলতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বোঝাবে। বিভাগীয় প্রার্থীদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে ন্যূনতম ৩ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে, বিভাগীয় প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত পদে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে পদগুলো উন্মুক্ত প্রার্থীদের মধ্য থেকে পূরণ করা হবে। সরাসরি নিয়োগে উন্মুক্ত প্রার্থীদের বয়স অনূর্ধ্ব ৩০ বছর। তবে বিভাগীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৪৫ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অপর একটি পদ ‘ইনস্ট্রাক্টর’। উপজেলা/থানা রিসোর্স সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টরের ৫০৫টি পদে নিয়োগে মোট পদের ৩৫ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ৬৫ ভাগ পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করার কথা বলা হয়েছে নতুন নিয়োগ বিধির খসড়ায়। তবে পদোন্নতিযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। পদোন্নতির জন্য উপজেলা/থানা রিসোর্স সেন্টারের সহকারী ইনস্ট্রাক্টর/পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে ন্যূনতম ৭ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা দ্বিতীয় শ্রেণির বিএডসহ দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। সরাসরি নিয়োগে বয়স ৩০ বছর, তবে বিভাগীয় প্রার্থীদের বয়সের কোনো উল্লেখ নেই। ইউআরসির সহকারী ইনস্ট্রাক্টরের ৫০৫টি পদে নিয়োগও একই নিয়মে হবে। তবে এখানেও বিভাগীয় প্রার্থী বলতে শুধু প্রধান শিক্ষকদের বোঝানো হয়েছে। দেশের ৬৭টি পিটিআইয়ে ইনস্ট্রাক্টর সাধারণ ও বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক ইনস্ট্রাক্টর পদেও প্রাথমিক শিক্ষকদের বিভাগীয় পদোন্নতির বিধান রাখা হয়নি। কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্বাধীনতা পরবর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক পদোন্নতি পেয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিইও) পর্যন্ত হতে পারতেন। কিন্তু কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগবিধি-১৯৮৫ এর ফলে শিক্ষকদের পদোন্নতির পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে পিএসসির নিয়োগবিধি ১৯৯৪ জারি হলে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকরা বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করতে পারতেন। ২০০৩ সালের সরকারি গেজেটেও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে বিভাগীয় প্রার্থী বলতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের কথা বলা হয়েছে এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের বোঝানো হয়েছে। সর্বশেষ নিয়োগ পর্যন্ত এভাবেই চলছে। অথচ প্রস্তাবিত নতুন সমন্বিত নিয়োগবিধিতে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাখা হয়নি। ফলে এই বিধি বাস্তবায়িত হলে সহকারী শিক্ষকরা আর কখনও অফিসার পদে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদন করতে পারবেন না। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। যেকোনো সময় এই নিয়োগবিধি মন্ত্রিসভায় উঠতে পারে। প্রাথমিক শিক্ষকদের অভিযোগ, নতুন এই নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন হলে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের উচ্চপদে পদোন্নতি স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। নিয়োগবিধিটির বিভিন্ন দিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসার পর সহকারী শিক্ষকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। Share this:FacebookX Related posts: প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি বন্ধ প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার বৃত্তির ফল প্রকাশ মঙ্গলবার এইচএসসির ফল নিয়ে কথা বলবেন শিক্ষামন্ত্রী শিশুকাল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে : শিক্ষামন্ত্রী কাল পরীক্ষায় বসছে সাড়ে ২০ লাখ শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বসেছে সাড়ে ২০ লাখ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা: গুজবে কান না দেয়ার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর করোনায় পিছিয়ে যেতে পারে এইচএসসি পরীক্ষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা জানালেন ওবায়দুল কাদের এইচএসসি শুরুর তারিখ পেতে আরও দেরি পরীক্ষা নিয়েই বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে চান প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে খুলে দেয়া হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: প্রধানমন্ত্রী SHARES Matched Content জাতীয় বিষয়: অসন্তোষনিয়েনিয়োগবিধিপ্রাথমিকশিক্ষকদেরসমন্বিত