নোয়াখালীতে শিশু ও নারী ধর্ষণ, দুই ধর্ষক কারাগারে

প্রকাশিত: ২:১৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : নোয়াখালীতে পৃথক ঘটনায় শিশু (৫) ও এক বিধবা নারীকে (৪৫) ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার বিকেলে বিচারিক আদালত এ আদেশ দেন।
অভিযুক্তরা হলেন, সুবর্ণচর উপজেলার চর নোমান গ্রামের হেলাল উদ্দিন (২২) ও কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের জগদানন্দ গ্রামের সমিতির দোকান এলাকার আরমান হোসেন লালু (২১) ।

ধর্ষণের ফলে ওই নারী (৪৫) বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদ ইউনিয়নের ওই শিশুটি তার বাবার সঙ্গে নিজেদের মুরগির খামারে যায়। সেখানে খেলতে খেলতে সে ঘুমিয়ে পড়লে তার বাবা খামারের একটি কক্ষে তাকে ঘুমে রেখে বাড়িতে চলে যান। এই সুযোগে দিবাগত রাতে খামারের কর্মচারী হেলাল শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে লম্পট হেলাল পালিয়ে যায়।

শিশুটিকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ র্ধষক হেলাল উদ্দিন (২২) কে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে।

এ ঘটনায় শিশুটির পিতা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে চরজব্বার থানায় হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ উদ্দিন বলেন, রাতেই শিশুটিকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশু ধর্ষণের অভিযোগে হেলাল উদ্দিন নামের এক যুবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে, গত ০৩ অক্টোবর কবিরহাট থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের জগদানন্দ গ্রামের সমিতির দোকান এলাকার এক বিধবা নারী। পরে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আরমান হোসেন লালুকে গ্রেফতার করে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিধবা ও কিছুটা মানষিক প্রতিবন্ধী ওই নারী সমিতির দোকান এলাকায় বসবাস করতো। ছেলেরা বিভিন্ন এলাকায় কাজ করায় প্রায় সময় তিনি বাড়িতে একা থাকতেন। গত কয়েক মাস আগে আরমান তার ৩ সহযোগীকে নিয়ে ওই বিধবার ঘরে ঢুকে। এ সময় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আরমান বিধবাকে ধর্ষণ করে। ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। বর্তমানে তিনি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘নির্যাতিতা নারীর দায়ের করা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গত ০৩ অক্টোবর ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।