ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক দেখতে যাবার আগ্রহ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ১১:১৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক দেখতে যাবার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাওরের এ সড়কটি উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনটা পড়ে থাকল। এ সড়ক দিয়ে গাড়িতে কবে যাব। রাষ্ট্রপতিও চান আমি যেন সরাসরি যাই। আমি যাব। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এ সড়ক দেখতে যাব।’

তিনি বলেন, ‘হাওর এলাকায় কৃষির পাশাপাশি উৎপাদন বহুমুখী করতে মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে একটা সড়কের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছি; যাতে করে যোগাযোগ ব্যবস্থাটা… নৌপথগুলো সচল করা। সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। রেলপথ সংযোগ পুনরায় স্থাপন করে এবং আরও নতুন নতুন অঞ্চলে রেললাইন সম্প্রসারণ করে রেলে যোগাযোগের সুযোগটা বাড়াচ্ছি। নৌপথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছি, সড়ক পথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘যখন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হবে, মানুষের পণ্য পরিবহনের সুবিধা হবে। সেখানে মানুষের অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বিতা ফিরে আসবে এবং বাংলাদেশ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত ভার্চুয়াল পাঠেও শিক্ষার্থীদের মনোযোগী হতে হবে। করোনা জয় করেই এগিয়ে যাওয়ার বিকল্প নেই।’

‘হাওরের বিস্ময়’ হিসেবে পরিচিত এই সড়কটি কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলাকে যুক্ত করে নির্মিত হয়েছে। সড়কটি এখন আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। এরই মধ্যে হাওরের নৈসর্গিক রূপ দেখতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে এখানে ছুটে আসছে মানুষ।

এক সময়ের অবহেলিত ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে এ সড়কটি। দিগন্ত বিস্তৃত হাওরের মাঝ দিয়ে পিচঢালা প্রশস্ত উঁচু সড়কটি হাওরের সৌন্দর্যকে যেন বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। এলাকায় বেড়েছে কর্মসংস্থানের সুযোগ।

এ সড়ককে ঘিরে হাওরে ভারতের কেরালা মডেলে পর্যটন এলাকা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী।

জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদুল আলম জানান, গত অর্থবছরে ৮৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘অল ওয়েদার সড়ক’ নির্মাণ করা হয়।