হাসপাতাল ছাড়লেন ইউএনও ওয়াহিদা খানম

প্রকাশিত: ৩:৪৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : হাসপাতাল ছাড়লেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে তাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্সেস হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান নিউরো সার্জন অধ্যাপক ডা. জাহেদ হোসেন এ তথ্য জানান।

তবে থেরাপির জন্য তাকে মিরপুরের সিআরপি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাকে ফিজিওথেরাপি দেয়া হবে। কেননা তার হাঁটা-চলা করতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে।

ডা. জাহেদ হোসেন বলেন, ‘ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থা এখন ‘ভালো’। এক মাস পর তাকে আবার হাসপাতালে গিয়ে দেখিয়ে যেতে বলেছেন চিকিৎসকরা।’

তিনি বলেন, ‘তিনি যখন প্রথম এখানে আসেন, তখন অপারেশন করার মত অবস্থায় ছিলেন না। আমরা তাকে অপারেশেন করার মতো অবস্থায় আনি। এরপর তার অস্ত্রোপচার হয়। অপারশেনের পর ডান দিক নাড়াতে পারছিলেন না। তবে এখন তিনি হাঁটতে পারছেন।’

ডা. জাহেদ হোসেন বলেন, ‘তিনি শতভাগ সেরে ওঠেননি। এ কারণে তাকে আমরা সিআরপিতে পাঠিয়েছি ফিজিওথেরাপির জন্য। এখনও যে সমস্যা সামান্য আছে, সেটা দুয়েক সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবেন।’

গত ০২ সেপ্টেম্বর (বুধবার) দিবাগত রাত ৩টার দিকে দুর্বৃত্তরা ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে। হত্যার উদ্দেশ্যে তারা ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।

পরে সকালে আহত বাবা-মেয়েকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ইউএনও ওয়াহিদাকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় আনা হয়।

গত ০৩ সেপ্টেম্বর রাতে অস্ত্রোপচারের পর নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয় ওয়াহিদাকে। তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ৪ দিন পর তাঁকে আইসিইউ থেকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ওয়াহিদা খানমকে বদলি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়। একইসঙ্গে রংপুরের পীরগঞ্জে ইউএনও হিসেবে কর্মরত থাকা তাঁর স্বামী মো. মেজবাউল হোসেনকে ঢাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব হিসেবে বদলি করা হয়।

এদিকে, ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করলেও মূল আসামি হিসেবে রবিউল নামের একজনকে চিহ্নিত করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আসামি রবিউল আদালতে এ বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

তবে ওয়াহিদার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই রবিউল হামলায় জড়িত নয়। যদিও রবিউল হামলাকারী বলে শতভাগ নিশ্চিত পুলিশ।