গির্জায় আটকে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ, ফাদার কারাগারে

প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : রাজশাহীর তানোরে কিশোরীকে (১৫) আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ফাদার প্রদীপ গ্যা গরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।বুধবার এ আদেশ দেন আদালত।এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর আমচত্বর সংলগ্ন বিশপ হাউজ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে তানোর থানায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়।

ফাদার প্রদীপ গ্যা গরীর তানোর উপজেলার সাধুজন মেরী ভিয়ান্নী গির্জায় কর্মরত ছিলেন।

র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর কোম্পানি কমান্ডার এ টি এম মাইনুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের খবর জানতে পারার পর থেকেই পলাতক প্রদীপ গ্যা গরীকে গ্রেফতারে প্রচেষ্টা শুরু হয়। পরে রাতেই তাকে বিশপ হাউজ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে তানোর থানায় সোপর্দ করা হয়।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আদিবাসী খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওই কিশোরী শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বাড়ির পাশে ওই গির্জার পাশে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে পর দিন রোববার তানোর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার। পরে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গির্জার ফাদার প্রদীপের ঘরে ওই কিশোরী বন্দি আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে পরিবারের সদস্য এবং এলাকার লোকজন সেখানে খোঁজ করে তাকে উদ্ধার করেন।

পরে সন্ধ্যায় গির্জার ভেতরেই সালিশি বৈঠক বসে। সেখানে দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ফাদার প্রদীপকে অপসারণ করে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়। আর ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে গির্জার ভেতরে সিস্টারদের কাছে রাখা হয়।

গির্জার প্রধান ফাদার প্যাট্রিক গমেজ ও সালিশি বৈঠকের প্রধান কামেল মার্ডি তাকে আটকে রেখেছিলেন। ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজের জিডি থানা থেকে প্রত্যাহার করলে তাকে ছাড়া হবে বলে জানায় গির্জা কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার ওই কিশোরীর পরিবার থানায় অভিযোগ দিলে সন্ধ্যায় তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো গির্জা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন।

রাজশাহীর তানোর থানার (ওসি) রাকিবুল হাসান জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে বুধবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।