হালুয়াঘাটে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১১:৪২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০

জোটন চন্দ্র ঘোষ, হালুয়াঘাট : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার গাজিরভিটা ইউনিয়নে ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠিসহ ২১৬ টি পরিবারের কাছ থেকে গাজিরভিটা পল্লীবিদ্যুৎ উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ এর নাম করণ করে দুই কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন নির্মান ও সংযোগ দেওয়ার নামে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একই এলাকার মরিশন চিরান সহ অর্থলোভী একদল প্রতারক।

প্রতারক চক্রটি ভূয়া পল্লীবিদ্যুৎ উন্নয়ন সমবায় সমিতির নাম করন করে তৈরি করেছেন অর্থ উত্তলনের কার্যকরী কমিটি। উপজেলা সমবায় অফিস সূত্রে জানা যায়, গাজিরভিটা পল্লীবিদ্যুৎ উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ নামে কোন নিবদ্বন নেই। তথাপি স্থানীয় মৃত গুলি মড়লের পুত্র হাকিম মড়ল সেজেছেন সভাপতি, একই গ্রামের মৃত উপেন্দ্র রাকসাম এর পুত্র মরিসন চিরান সহ স্থানীয় প্রতারক চক্রটি। চক্রটির সাথে সক্রিয় ভাবে কাজ করছেন উপজেলা পল্লীবিদ্যুৎ সমবায় সমিতি লিঃ এর জোন ইনর্চাজ প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ। সাথে কাজ করছেন লাইন মেন লিটন মিয়া।প্রতি এলাকা হতে নগদ ২০ হাজার টাকা ছাড়া এক পাও নড়েনি হারুন।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা প্রভাত চাম্বুগং, এডভোকেট শুভ্রা ও খায়রুল বাশার সহ স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, গাজিরভিটা পল্লীবিদ্যুৎ উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ এর নাম করণ করে মরিশন চিরান বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা বলে প্রতিটি পরিবারের কাছ থেকে ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে তিন বছর ধরে বিদ্যুৎ সংযোগের কথা বলে তালবাহানা করে চলছে।

সম্প্রতি গাজিরভিটায় মরিশন চিরান নতুন করে মিটার সংযোগ দেওয়ার কথা বলে মিটার প্রতি ১২০০ টাকা করে দাবী করছেন। পাশাপাশি নগদ ২০ হাজার টাকা অফিসে জোন ইনর্চাজ আরুন অর রশিদ কে প্রধান করা না হলে এলাকা পরিদর্শন করেন না।ফলে দির্ঘদিন যাবদ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিছিন্ন রয়েছেন ভুক্তভোগী জনসাধারণ। শিঘ্রই প্রতারক চক্রটির হাত থেকে আপামর জনসাধারণকে রক্ষা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এবিষয়ে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা কামরুল হুদা এ প্রতিবেদককে বলেন, গাজিরভিটা পল্লীবিদ্যুৎ উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ নামে তাদের নিকট কোন নিবন্দন নেই অবৈধ পন্তায় জনগনের নিকট থেকে সমবায় সমিতির নামে অর্থ উত্তোলন কারির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জোন ইনর্চাজ হারুন অর রশিদ এর নিকট এলাকা পরির্দশন করে গ্রাহকদের নিকট থেকে নগদ টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে সরেজমিনে অফিসে গেলে সাংবাদিকদের দেখতে পেয়ে তিনি অফিস ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন এক পর্যায়ে ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুত সমিতি-৩ এর এজিএম হাবীবুর রহমানের হস্তক্ষেপে কথা বলতে রাজী হয়। এ সময় তিনি সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করেন। এবিষয়ে মরিসন চিরানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউর করিম বলেন,বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের নামে অর্থ উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। প্রতারকদের সাথে লেনদেন না করার জন্য বিদ্যুৎ গ্রাহকদের আহবান করেন।

ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির-৩ এর এজিএম হাবীবুর রহমান বলেন, যদি বিদ্যুৎ সংযোগের কথা বলে অফিসের কোন ব্যক্তি অর্থ কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িত থাকেন এবং তদন্তে প্রমাণিত হয় তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বিদ্যুৎ গ্রাহকদেরকে প্রতারক চক্রের সাথে লেনদেন করা থেকে বিরত থাকতে আহবান জানান।