আজও জামিন হলো না সাবরিনার

প্রকাশিত: ৫:২৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০

অনলাইন ডেস্কঃ জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার জালিয়াতির মাধ্যমে দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেয়ার অভিযোগে মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে ডা. সাবরিনার পক্ষে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে বাড্ডা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এর আগে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) একই মামলায় দু’দিনের রিমান্ড শেষে সাবরিনাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তারও আগে ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জেল হোসেন শুনানি শেষে তার দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাবরিনাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম। আদালত ডা. সাবরিনার উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোপূর্বক পাঁচ দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য ৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম উল্লেখ করেন, প্রাথমিক তদন্তে মামলার ঘটনার সঙ্গে ডা. সাবরিনার জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করা আবশ্যক। যাতে মামলার মূল রহস্য উদঘাটন হবে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাবরিনাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানাচ্ছি।

সাবরিনাকে বা কার সহায়তায় মিথ্যা তথ্য প্রদান করে দ্বিতীয়বার এনআইডি নিয়েছেন এবং তার হেফাজতে অন্য কোনো ভুয়া এনআইডি কার্ড আছে কি না, থাকলে তা উদ্ধারসহ প্রকৃত ঠিকানা সংগ্রহ করে যাচাই, মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার চাহিদা মোতাবেক তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে জিজ্ঞাসাবাদসহ সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনার জন্য পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের প্রয়োজন।

এদিকে ৩০ আগস্ট বাড্ডা থানায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। ২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় এ মামলাটি করা হয়।