সিটি নির্বাচনে শৃঙ্খলা রক্ষায় ১৫ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

প্রকাশিত: ১২:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯

নিউজ ডেস্কঃ ঢাকা উত্তর (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) আসন্ন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার।গতকাল সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রশাসন ক্যাডারের উপসচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার এ কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।নিয়োগপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটরা ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন।আদেশে বলা হয়েছে, নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আজকের মধ্যে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যোগদান করবেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব বণ্টন করবেন।প্রসঙ্গত, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি এবং প্রত্যাহারের শেষদিন ৯ জানুয়ারি। দুই সিটি নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে।ইসির অনুমতি ছাড়া বদলি নয়
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমতি ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি না করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এতে ভোটের ফলের গেজেট প্রকাশ হওয়ার ১৫ দিন পর্যন্ত কাউকে বদলি না করার কথা বলা হয়েছে।গতকাল সোমবার ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরের সই করা এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনসংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয়সংখ্যক প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার নিয়োগ প্রদান করা হবে।

বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি এবং সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন। ভোটকেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয়সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্য মোতায়েন করা হবে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/সংস্থার স্থাপনা/অঙ্গন ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহূত হবে।আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা স্মরণ করিয়ে চিঠিতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য এবং স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৩ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা প্রদান করার উদ্দেশে রাষ্ট্রের যেকোনো ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারবে এবং অনুরূপভাবে নির্দেশিত হলে ওই ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত দায়িত্ব পালন বা উক্তরূপ সহায়তা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে।

বিধিমালার বিধি ৮৯ অনুযায়ী, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ১৫ দিন অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতিরেকে নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অন্যত্র বদলি করা যাবে না।নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুসারে কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-সংক্রান্ত কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে তিনি তার উক্তরূপ নিয়োগের পর নির্বাচনি দায়িত্ব হতে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত তার চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে চাকরিরত আছেন বলে গণ্য হবেন।
ইতোপূর্বে এ ধরনের ক্ষেত্রে নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পরিপত্র জারি করা হয়েছিল।প্রসঙ্গত, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি। ৩১ ডিসেম্বর দুই সিটির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন। ২ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ৯ জানুয়ারি।

একাদশ জাতীয় সংসদে আ.লীগের বর্ষপূর্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আনন্দর‍্যালী