নওগাঁয় এলজিএসপির রাস্তার কাজে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫:৫১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : নওগাঁর রাণীনগরে এলজিএসপি-৩ রাস্তা কাজের অনিয়ম ও নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৬ নং কালীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় রাতোয়াল গ্রামের রাখালগাছী পাড়ায় এই সিসি রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে।

রাস্তার দৈর্ঘ্য ১০৭ মি. প্রস্থ ২ দশমিক ১৩৩ মি.। এই কাজে এলজিএসপি-৩ (লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের অর্থায়নে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ০৬২ টাকা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এই রাস্তাটি সম্পন্ন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কালীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলুকে। বরাদ্দ অনুসারে কাজে উন্নতমানের নতুন ইট ব্যবহার করার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান ওই রাস্তায় ব্যবহার করা দীর্ঘদিনের পুরাতন ইট ভেঙ্গে খোয়া করে সেই খোয়া দিয়ে রাস্তার সিসি ঢালাই দেওয়া হচ্ছে এবং রাস্তার দুই পাশে ওই ইট দিয়েই রেজিন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও, অন্যান্য কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

বর্তমান সরকার যেখানে গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে বধ্য পরিকর সেখানে গ্রামীণ সিসি ঢালাই রাস্তার কাজে অনিয়মে হতাশ গ্রামবাসীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের অনেকেই বলেন, চেয়ারম্যানের ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। তাই রাস্তার কাজের এই অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কারো কথা বলার ক্ষমতা নেই। এই রাস্তাটি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা চাই বরাদ্দে যেভাবে বলা আছে ঠিক সেই ভাবেই করা হোক। তাতে অনন্ত আমরা রাস্তাটি কয়েক বছর ব্যবহার করতে পারবো। আর নিম্নমানের যে উপকরণ দিয়ে রাস্তাটি তৈরি করা হচ্ছে এতে করে নির্মাণের ৬ মাসই টেকসই হবে না।

কালীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল বাবলু মন্ডল বলেন, এই রাস্তার কাজে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেখানে এই রাস্তারই পুরাতন ইটগুলোর মূল্য ধরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাই বরাদ্দ অনুসারে আমি রাস্তার কাজ করছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, রাস্তার কাজে কোন অনিয়ম কিংবা নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হলে তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।