করোনায় একদিনে আড়াই হাজারের বেশি সুস্থ

প্রকাশিত: ৮:৩৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪ হাজার ৩৮৩ জনে।বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ১৫৮ জনের মধ্যে। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৮৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৯৬৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ১৩ হাজার ৯৮০ জন।

করোনা ভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯২টি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১৪ হাজার ৬১৩টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৪ হাজার ৪২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯২ হাজার ৩৮-এ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৪ জন এবং নারী ৮ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩১ জন এবং বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে একজনের। চল্লিশোর্ধ্ব ছিলেন দু’জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১২ জন ও ষাটোর্ধ্ব ছিলেন ১৮ জন।

মৃতের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ছিলেন ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৭ জন, সিলেট বিভাগের ৩ জন, রংপুর বিভাগের ৬ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগের ছিলেন একজন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ০৮ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৬৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৪৩২ জন (৭৮ দশমিক ৩০ শতাংশ) এবং নারী ৯৫১ জন (২১ দশমিক ৭০ শতাংশ)।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৬১৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৯৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৭৩ হাজার ১৬৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৫৩ হাজার ২৯৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ৮৬৯ জন।

গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু মাদ্রাসা বাদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে।