করোনায় ষাটোর্ধ্বদের বেশি মৃত্যু

প্রকাশিত: ১০:৩৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪ হাজার ৩১৬ জনে।মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ৯৫০ জনের মধ্যে। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৯০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ০৮ হাজার ১৭৭ জন।

করোনা শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১টি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১১ হাজার ৯৮১টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১২ হাজার ২০৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৪১২টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পুরুষ ২১ জন ও নারী ১৪ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের এবং বাড়িতে মারা গেছেন ৩ জন। ২০ বছরের বেশি বয়সী ছিলেন একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব ৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১১ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ছিলেন ১৮ জন।

ঢাকা বিভাগের ছিলেন ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৪ জন, রাজশাহী বিভাগের ৩ জন, খুলনা বিভাগের ৩ জন, বরিশাল বিভাগের দু’জন, সিলেট বিভাগের একজন, রংপুর বিভাগের ৪ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগের ছিলেন একজন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৬৬ দশমিক ১০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৩৮৫ (৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ) এবং নারী ৯৩১ জন (২১ দশমিক ৫৭ শতাংশ)।

গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু মাদ্রাসা বাদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে।