বিআরটিএ’র নকল লাইসেন্সসহ সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১০:৪৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর তুরাগ থানার চন্ডালভোগ পুকুরপাড় মসজিদ মার্কেট অভিযান চালিয়ে বিআরটিএ’র বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নকল সিল, বিপুল পরিমান নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং অন্যান্য জাল কাগজপত্রসহ সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. হুমায়ুন কবির (৩৮), মহসিন সাব্বির (৫০) ও মো. কামাল হোসেন (৩৮)।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৩) এর সহকারী পুলিশ সুপার ( এএসপি ) ফারজানা হক সোমবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এসময় ধৃত প্রতারকদের অফিস তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির নামীয় লার্নার্স ড্রাইভিং লাইসেন্স ১৩০টি, বিভিন্ন ব্যক্তির গাড়ি চালানোর অস্থায়ী অনুমতিপত্র ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ৫৫ সেট, নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ২০ সেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের আবেদনপত্র ৫ সেট, পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত তদন্ত প্রতিবেদন ৭ সেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফরম ৭ সেট, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন নামের সীল ৪টি এবং নগদ ৬২ হাজার ৮’শ টাকা উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৩) এর একটি দল রাজধানীর তুরাগ থানার চন্ডালভোগ গ্রামের পুকুরপাড় মসজিদ মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

র‌্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার স্টাফ অফিসার (অপস্) ফারজানা হক আরো জানান, আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তার মধ্যে মূলহোতা হল প্রতারক মো. হুমায়ুন কবির (৩৮), পিতা-আব্দুল কাদের, সাং-চরনোয়াবাদ থানা ও জেলা-ভোলা বর্তমান বাসা নং-৭১ আনোয়ারবাগ, থানা-দক্ষিণখান, ঢাকা, মহসিন সাব্বির (৫০), পিতা-মৃত আজিমুদ্দীন, সাং-বাসা নং-১৫, রোড নং-৪/ডি ব্লক- বি, থানা-পল্লবী, ঢাকা ও মোঃ কামাল হোসেন (৩৮), পিতা-মোঃ আব্দুল হক, সাং-কবি রুপসা, থানা-ফরিদগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুর, বর্তমান বাসা নং-৪৭, রোড নং-১৮, সেক্টর-৩, থানা-উত্তরা,ঢাকা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা র‌্যাবকে জানান, তুরাগ থানার চন্ডালভোগ পুকুরপাড় মসজিদ মার্কেট এলাকায় তারা একটি অস্থায়ী অফিস স্থাপন করে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ পুলিশ (জেলা বিশেষ শাখা), বিআরটিএ সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের জাল সীল ব্যবহার করে নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, নকল ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির বিভিন্ন জাল কাগজপত্র, লার্নার্স পেপার ইত্যাদি প্রদানের নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।