নিখোঁজের ১৩ ঘন্টা পর শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত: ২:৪৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নিখোঁজের ১৩ ঘন্টা পর এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল সাড়ে ৬টায় উপজেলার লাখাইছড়া চা বাগানে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।

এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাসা থেকে বের হয় সে নিখোঁজ হয়।

নিহত স্বাক্ষর দেব (১৮) উত্তর ভাড়াউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কল্যাণ দেবের ছেলে। সে শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলো।

শনিবার রাতে স্বাক্ষরের বাবা কল্যাণ দেব জানিয়েছিলেন, শনিবার বিকেলে স্বাক্ষর তার মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা ছিলো। সে বাসা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বের হয়। কিছুক্ষণ পর ৫টার দিকে তার মা তার ফোনে কল করলে অন্য একজন ফোন রিসিভি করে। স্বাক্ষর কোথায় বললে অপর পাশ থেকে ‘স্বাক্ষর কে? স্বাক্ষর নামে কেউ নাই- বলে ফোন রেখে দেয়। এরপর থেকে স্বাক্ষরের ফোনে আর সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এদিকে, পরিবারের লোকজন স্বাক্ষরকে না পেয়ে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখুঁজি করে রাত ১১টার দিকে স্বাক্ষরের বাবা বাদি হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। সন্ধ্যা ৭টা ও রাত সাড়ে ১১টার দিকে দু’বার তার ব্যবহৃত মুঠোফোন ট্রেকিং করা হয়। একবার তাকে ভানুগাছ রোডে ও অন্যবার ষাড়ের গজের দিকে দেখানো হয়। পুলিশ ও এলাকাবাসী তাকে ওই এলাকাগুলোতে খুঁজেও পায়নি।

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুছ ছালেক বলেন, স্বাক্ষর শনিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলো। পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন শনিবার বিকেল থেকে সারা রাত অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও তাকে পাওয়া যায়নি। আমরা রাতে অনেক চেষ্টা করেছি তাকে খুঁজে বের করার। রোববার ভোর সকালে লাখাইছড়া চা বাগানে শ্রমিকরা একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে আমাদের ফোন দিলে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এখন এটি হত্যা না কি আত্মহত্যা সেটি বলা যাচ্ছে না। মৌলভীবাজার থেকে পিবিআই ও সিলেট থেকে সিআইডির স্পেশাল টিম ঘটনাটির আলামত সংগ্রহ করছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি। শীঘ্রই রহস্য উন্মোচন হবে।